উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দলীয় একক মনোনয়ন পেয়েছে ক্ষমতাসীন আ. লীগের মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আব্দুল মালেক মণ্ডল, বিএনপির সাবেক মেয়র আব্দুর রাজ্জাক প্রাং, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, মামুনুর রশীদ মামুন ও কামাল হোসেন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন অংশ গ্রহণকারী মেয়র প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা।

এদিকে সাইদুর রহমান, আহাদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম হেলাল, মাজেদুর রহমানসহ অনেক ভোটার বলেন, আব্দুল মালেক মণ্ডলের সময়ে পৌরসভার যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তা পূর্বে কখনও সম্ভব হয়নি। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আবারও নৌকার বিজয় নিশ্চিত। আ.লীগ সরকারের সময়ে জরাজীর্ণ তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা থেকে প্রথমে দ্বিতীয় এবং সর্বশেষ প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে।

বর্তমান সরকারের আমলে পৌরসভার মডেল মসজিদ, গোরস্তান, পৌরভবন, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাট, বাজার লাইটিং, ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে পয়ঃনিষ্কাশন, ময়লা-আবর্জনা অপসারণসহ সব ধরনের ভাতার সুষ্ঠু বণ্টন করা হয়েছে। এক কথায় পৌরবাসী হাতের কাছেই পেয়েছে তাদের সেবা।

ভোটাররা আরও জানান, এখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মালেক মণ্ডল এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিএনপির প্রার্থী সাবেক মেয়র আব্দুর রাজ্জাক। সেই সঙ্গে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুন। তবে নতুন প্রার্থী হিসেবে কামাল হোসেনের কিছু ভোট রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপক এগিয়ে রয়েছে, ক্ষমতাসীন দল আ. লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্দুল মালেক মণ্ডল। তিনি দলবল নিয়ে রাতের ঘুম হারাম করে পৌরসভার আনাচে-কানাচে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করছেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে পৌরসভার উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আবারো ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিএনপির একক প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক হলেও দলীয় কোন্দলের কারণে দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় তেমন লক্ষ্য করা হয়নি।

দলের কোন্দল মিটানোর জন্য কেন্দ্রের নির্দেশে জেলা পর্যায়ের শীর্ষ এক নেতা প্রায় বাগমারাতেই পড়ে আছেন। দলের কোন্দল মিটলে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক নির্বাচনে এগিয়ে যেতে পারবেন বলে মাঠ পর্যায়ের বিএনপির একাধিক সমর্থক জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, প্রচারণায় পিছিয়ে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশীদ মামুন। তিনিও তার কর্মী-সমর্থক নিয়ে পৌরসভার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর চাকরি ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। আসন্ন নির্বাচনে ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ১৪ হাজার ৪০৫ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এছাড়া এই পৌরসভায় সংরক্ষিত তিনটি আসনে ১৩ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলরের নয়টি পদে ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা গেছে।