ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চাঁই বুনে জীবিকা

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮

চলনবিল বেষ্টিত গ্রামটির জনসংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। যোগাযোগ ব্যবস্থা পশ্চাদপদ। তার ওপর আত্রাই নদ গ্রামটিকে বিভাজন করেছে। মাছ ধরার উপকরণ (চাঁই) তৈরি করে জীবিকার পথ বেছে নিয়েছে ওই জনগোষ্ঠীর মানুষ। আয় ভালো হওয়ায় পড়ালেখাও করছে এসব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নে গড়ে ওঠা গ্রামটির নাম বিলহড়ি বাড়ি। উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার উত্তরে গ্রামটির অবস্থান। মূলত আত্রাই নদ আর চলনবিলের উম্মুক্ত জলরাশির মাছকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল গ্রামটি। সুইটি দশম শ্রেণি, দূর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয়। স্কুলের ফাঁকে দুইটি তৈরি করে। মজুরি পায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাবা হাফিজুর রহমান, সাইকেল মেকার। মা সালেহা বেগম।
কথা হয় সালেহা বেগম ও খালেদা বেগম নামে দুই নারীর সাথে। তাদের ভাষ্য, ২০০৭ সালের দিকে তাদের বিয়ে হয়। বাবার বাড়িতে অভাব-অনটন ছিল। কিশোরী বয়সে নতুন বউ হয়ে স্বামীর সংসারে এসেছিলেন তারা। কিন্তু অভাব পিছু ছাড়েনি তাদের। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে শ্বশুর-শাশুড়ির কাছ থেকে চাঁই বুনোনোর পেশাটি রপ্ত করেছেন তারা।
এখন তাদের সংসারে ছেলে-মেয়ে রয়েছে। নিজেরা কষ্টে থাকলেও সন্তানদের স্কুলে পাঠায়।
বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক জানালেন, একটা সময় ছিল, গ্রামটির মানুষ অভাবের সাথে যুদ্ধ করত। গেল প্রায় এক দশক ধরে চাঁই তৈরির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের ভাগ্য বদলে গেছে। এখন অনেকের ঘরেই রয়েছে রঙিন টেলিভিশন।

 
Electronic Paper