তানোরে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
🕐 ৭:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২০
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় শীতের আগাম বার্তায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা। শীতের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার দিয়ে রাখছেন অনেকে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, লেপ-তোশক তৈরির কারিগরদের ব্যবসায়িক মৌসুম শীতকাল হওয়ায় নিজেদের কাজে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আর সাধারণ মানুষ শীত থেকে রক্ষা পেতে অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এবার লেপ তৈরির কাপড় ও তুলার দাম একটু বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
তানোর পাড়া এলাকার ডা. মেজবাউল আলম বলেন, সারাদিনে হালকা কাপড় পড়লেও সন্ধ্যার পর গরম কাপড় পড়তে হয়। আর বর্তমানে রাতে কাঁথা বা চাদর গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হয়। কয়েকদিন আগেও রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে হয়েছে। এবার শীতের শুরুতেই যে দাপট দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে প্রচুর ঠাণ্ডা পড়বে। তাই শীতের অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তৈরির অর্ডার দিতে এসেছি।
উপজেলার চাপড়া এলাকার লেপ-তোশক তৈরির কারিগর বাবু মন্ডল জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কাপড় ও তুলার দাম বেশি। এ কারণে লেপ-তোশক তৈরিতে অতিরিক্ত টাকা লাগছে।
তানোর সদরের গোল্লাপাড়া বাজারের নাদিম বেডিং স্টোরের স্বত্বাধিকার হবির মন্ডল জানান, বর্তমানে প্রকারভেদে লেপ-তোশক তৈরির কাপড় প্রতি গজে ৫ থেকে ৮ টাকা দাম বেড়েছে।
এছাড়া শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ২০ থেকে ৩৫ টাকা, সাদা তুলা ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা করে দাম চলছে।
তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৭টি লেপ-তোশকের অগ্রিম অর্ডার পেয়েছি। তাই সার্বক্ষণিক কাজেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।