ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর করতোয়া

আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ সিরাজগঞ্জ
🕐 ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর করতোয়া নদী। হাজারো পাখি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন পাখিপ্রেমীরা। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রাম ঘেঁষে করতোয়া নদীটি বয়ে গেছে। করতোয়ায় অতিথি পাখির আনাগোনা বেড়ে গেছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। প্রতিবছর শীত মৌসুমে নদীটি যেন হয়ে যায় পাখির আবাসস্থল। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

নদীটি এখন অতিথি পাখির কিচির মিচির শব্দে মুখরিত। পাখির কারণে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে নদীটি।

সরেজমিন দেখা যায়, শান্ত জলের বুকে কচুরিপানার সবুজ গালিচার মাঝে ঝাঁক বেঁধে ডানা মেলছে অতিথি পাখির দল। উড়ে চলা পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত চারপাশ। পিয়াং হাঁস, পাতি সরালি, লেঙজা হাঁস, বালি হাঁস, পাতিকূটসহ দেশি জাতের শামুকখোল, পানকৌড়ী, ছন্নি হাঁস বিল এলাকা মুখরিত করে তুলছে।

এবারও তিব্বতীয় মানিকচক, সাইবেরিয়ান ফিদ্দাসহ অনেক অতিথি পাখিই চোখে পড়ার মত।

এদিকে, প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় জমান এখানে। উপভোগ করেন মনোরম দৃশ্য। দলবেঁধে যখন পাখিগুলো আকাশে ওড়ে, তার সঙ্গে যেন উড়ে চলে মনও। পুরো এলাকাটিই সরব করে রাখে এই পাখিগুলো। পাখিদের এই মিছিলে আছে দেশীয় বক, বালিহাঁস, পানি কাউর, পানকৌড়িসহ নাম না জানা অনেক পাখি।

উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জানান, নভেম্বর এলেই পাখিগুলো যে কোথা থেকে আসে তা জানি না। তবে প্রচুর পাখি আসে এই গ্রামের করতোয়া নদীতে। বেশ কয়েক বছর ধরেই পাখি আসে এ নদীতে।

স্থানীয় প্রদীপ কর্মকার বলেন, সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের সাথে অতিথি পাখিদের হৃদয়ের সম্পর্ক অনেক গভীর ও প্রাচীন। আমাদের অসচেতনতার অভাবে সামান্য স্বার্থের কারণে বা শখের কারণে আমরা শীতের পরিযায়ী পাখিদের শিকার করে মেরে ফেলছি। এটা আমাদের জন্য খুবই মর্মদায়ক। মানুষের সৃষ্ট কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবাউল করিম বলেন, পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। আমি নিজে পাখির অভায়শ্রম দেখতে যাব। সেখানে জনগণকে সচেতন করা হবে। যেন কেউ পাখিদেরকে বিরক্ত না করেন।

 
Electronic Paper