ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শামুকের কৃত্রিম প্রজনন

লাবু হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
🕐 ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০

এর আগে এই প্রজাতির কৃত্রিম প্রজনন ঘটাতে পারেনি কেউ— এমনটাই দাবি গবেষকের। দেশের ‘প্রকৃতির মুক্তো’ বলে পরিচিত বিভিন্ন মহলে। নানা কারণে আজ বিলুপ্তির পথে তারা। উভয় লিঙ্গের হওয়ায় জটিলতা ছিল অনেক। তবে কেটে গেছে এখন তার সব। সম্প্রতি লিগাস প্রজাতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই প্রকৃতির মুক্তোর কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়ে পাঁচটি বাচ্চা পেয়েছেন গবেষকরা। ফলে আপাতত বিলুপ্তির বেড়াজালে হারাবে না তারা। একই সঙ্গে দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গবেষকরা রাজশাহী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সংগ্রহ করেন বিলুপ্তপ্রায় ‘প্রকৃতির মুক্তো’ খ্যাত গেছো শামুক। চলতে থাকে কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ক গবেষণা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শাহরিয়ার শোভনের নেতৃত্বে হাঁটতে থাকেন গবেষক দল। অবশেষে পেয়ে যান সাফল্য। দুটি গেছো শামুকের মধ্যে কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়ে সম্প্রতি তারা পেয়েছেন পাঁচটি বাচ্চা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোদ। তার দাবি— এর আগে কেউ এই শামুকের কৃত্রিম প্রজনন ঘটাতে পারেনি। ড. শোভন বলেন, দেশের প্রকৃতির মুক্তো গেছো শামুক।

নানা কারণে গেছো শামুক আজ বিলুপ্তির পথে। মূলত গেছো শামুকের ক্যাপটিভিটি কন্ডিশনসমূহ প্রতিষ্ঠা ও ক্যাপটিভ প্রজননের মূল্যায়ন করা ছিল গবেষণার প্রাথমিক কাজ। গেছো শামুকেরা মূলত উভয় লিঙ্গের হয়। প্রায় ৬ মাস পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে এক প্রজাতির গেছো শামুকের সফল প্রজনন ঘটানো সম্ভব হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ধরে কিছু জাপানি বিজ্ঞানীর সঙ্গে কেমিক্যাল ইকোলজি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ওপর একত্রে কাজ শুরু করেন এই গবেষক। ড. শাহরিয়ার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণার জন্য জাপানি গবেষকদের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তিও করেছেন। করোনাকালীন এ ধরনের গবেষণা প্রক্রিয়া একত্রে চালাতে না পারায় নিজ প্রচেষ্টায় ড. শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইটের অদূরে অক্টোর মোড়ে নিজ বাসায় গেছো শামুকের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ শুরু করেন। ড. শাহরিয়ারের গবেষণায় সহায়তা করেন নিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল কাফী এবং টি এস রূপময় তংচঙ্গ্যা। এর আগে দেশে নতুন প্রজাতির শামুকের সন্ধান পেয়েছিলেন অধ্যাপক ড. এম শাহরিয়ার শোভনের গবেষক দল।

 
Electronic Paper