বিনাচাষে পেঁয়াজ রোপণ
মিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
🕐 ১১:০১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২০
দুই বছর ধরে চাহিদার তুলনায় দেশে পেঁয়াজ সংকট, তাই বাজারে পেঁয়াজের দামও বেশি। কৃষি অধিদফতরের তৎপরতায় পেঁয়াজের এ ঘাটতি পূরণে কৃষকরা গত বছর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় স্বল্পমাত্রায় নিচু জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন। এতে অধিক লাভবান হন কৃষকরা। এবারও নিচু জমিতে পানিতে কমতে শুরু করায় বিনাচাষে পেঁয়াজ রোপণের হিড়িক পড়েছে। চাষের খরচ কম, পাশাপাশি সার ও সেচে বাঁচে পয়সা। ফলে এ পদ্ধতিতে পেঁয়াজের আবাদ এ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কৃষক ও দুর্গাপুর কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, কৃষকরা অক্টোবর মাসের শেষের দিকে জমির পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিজা জমিতে পেঁয়াজের অঙ্গুর রোপণ করে। এরপর খড় অথবা আগাছা দিয়ে পেঁয়াজের অঙ্গুর ঢেকে দেয়। গত বছর এ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষ করে অধিক লাভবান হয়ে ছিলেন কৃষকরা। এ পদ্ধতিতে সার ও সেচ খুবই কম লাগে। ফলে নিচু জমিতে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে এ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আবাদ বেড়েছে কয়েক গুণ।
উপজেলার শানপুকুরিয়া গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন, ভিজা স্যাঁতসেঁতে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করে নেয় কৃষকরা। পরে চাষ ছাড়াই সহজে পেঁয়াজ কুঁড়ি রোপণ করে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ভালো ফলনের আশা করেন তিনি। দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আফজাল হোসেন গত বছর ১০ কাঠা জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন। বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো থাকায় এ বছরও এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ রোপণের ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছেন।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান জানান, গত বছর উপজেলার স্বল্পমাত্রায় ২০ হেক্টরের মতো জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদ করেছিল। বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা অধিক লাভবান হয়ে ছিল। এ বছরও গত বছরেও চেয়ে কয়েক গুণ বেশি জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদ করবেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে জমির পানি কমতে শুরু করায় কৃষকরা ব্যাপকহারে নিচু জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তিনি আরো বলেন, নিচু জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদের খচর তুলনামূলক অনেক কম। এ জন্য এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।