ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, ঢাবি ছাত্রীর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২০
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম রুম্পা (২৫)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। থাকতেন ঢাবির সামসুন্নাহার হলে। তবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরদীতে অবস্থান করছিলেন রুম্পা। এ সময়ে নিজের পছন্দের ছেলেকে বাদ দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিবারের পছন্দের পাত্রের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। আর এ বিষয়কে কেন্দ্র করে রূম্পা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৬ অক্টোবর, সোমবার উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা গ্রামে বড় ভাইয়ের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রুম্পা। তিনি বাবুলচারা গ্রামের ফরিদ উদ্দিন মণ্ডলের মেয়ে।
পারিবারক সূত্রে জানা যায়, ঢাকার একটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ডিপ্লোমা শেষবর্ষের ছাত্র একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলামের সঙ্গে রুম্পার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি রুম্পার বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলে রুম্পা রাজুকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না বলে তার সিদ্ধান্ত পরিবারকে জানান। কিন্তু রাজুর বাবা হাফিজুলের সঙ্গে তাদের পরিবারের পূর্ব বিরোধের কারণে রুম্পার বাবা ফরিদ মণ্ডল তাতে রাজি হননি। এ সব নিয়ে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে রুম্পা কয়েকদিন আগে রাগ করে তার ভাই সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা রিপন মণ্ডলের বাসায় গিয়ে ওঠেন। সোমবার সেখানেই তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসীর উদ্দীন জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাবির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নেভিন ফরিদা বলেন, আমরা এই মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে শোকাহত, তার আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা করছি।