ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৩২ কোটি টাকার ক্ষতি

জিয়াউল গনি সেলিম ও এমএ আমিন, রাজশাহী
🕐 ১১:২২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২০

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা কুলিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আকরাম আলী ছয় বিঘা জমিতে রোপণ করেছিলেন আমন ধান। বানের পানি নামতে শুরু করায় তলিয়ে যাওয়া খেতে কোথাও কোথাও জেগেছে ধানের শীষ। কিন্তু সেটি চেয়ে দেখা আর আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার নেই। আকরাম আলী বলেন, প্রথমে একবার বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। পরে আরেকবার লাগাই। এবারও তলিয়ে গেছে। আমাদের সব শেষ। সামনে আমরা কীভাবে বাঁচব, ভেবে পাই না। তিন দফা বন্যায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় নষ্ট হয়েছে ৩২ কোটি টাকার ফসল। ধান, পান, আখ ও বিভিন্ন সবজি এখনো পানির নিচে। এতে ৩১ হাজার কৃষক পড়েছেন বিপাকে।

ফসল উৎপাদনে নেওয়া ঋণ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই চাষিদের। বানের পানিতে পুকুর ভেসে যাওয়ায় মাছ চাষিরা পড়েছেন লোকসানে। এ উপজেলার বন্যাকবলিত ১১ ইউনিয়নের অন্তত ৩১ হাজার কৃষকের ক্ষেত। দফায় দফায় বন্যার পানিতে পচেছে পানের বরজ।

আগাম শীতকালীন সবজি গাছগুলোর অবস্থা জবুথবু। পচেছে ক্ষেতের বেগুন, লাউ, পটলসহ নানা সবজি। ভেসেছে ঘেরের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বলছেন, সব ধরনের সবজি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। শীতকালীন সবজি আবাদ করেছিলেন। সেগুলোও শেষ। বন্যায় ফসল ঘরে তুলতে না পারায় ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিলম্বে ঋণের অর্থ আদায় করবে বেসরকারি সংস্থাগুলো বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজশাহী বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ। তিনি বলেন, যেসব এনজিও রয়েছে, তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি; বলেছি তারা যেন দেরি করে ঋণ নেয়। তারাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিকে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রবি মৌসুমে প্রণোদনা হিসেবে ফসলের উপকরণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ। রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামছুল হক বলেন, রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা ও সার দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করতে পারব। কৃষি বিভাগ বলছে, ইতোমধ্যে মাসকালাই ও সবজির বীজ বিতরণ শুরু করেছেন তারা।

 
Electronic Paper