নিহতের পেটে মিলল ৩১ প্যাকেট ইয়াবা
রাজশাহী ব্যুরো
🕐 ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
রাজশাহীতে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর পেট কেটে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে ছিল ৫০টি করে। কক্সবাজার থেকে পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করে আনার সময় তিনি পাবনায় ধরা পড়েন। পেট থেকে ইয়াবা বের করার জন্য গত রোববার রাতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের সময় তার পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এই মাদক ব্যবসায়ীর নাম আবদুস শুকুর (৩৭) তার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মোক্তার আহমেদ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরও তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। তার পেট থেকে বড়িগুলো উদ্ধার করার জন্য তাকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে শুকুর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। মারা যাওয়ার পরে তার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন পড়ে।
ওই ব্যক্তির পেট থেকে মোট ৩১ প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট অক্ষত ছিল। বাকি ১৫টি ফেটে যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে বড়ি ছিল। প্যাকেট ফেটে বড়ি বের হয়ে গলে যাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান জানান, রাজশাহীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেকের উপস্থিতিতে একজন চিকিৎসক তার ময়নাতদন্ত করেন। এ সময় তার পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, বড়িগুলো এখন আলামত হিসেবে পাবনা থানায় পাঠানো হবে। আর তার লাশ পাবনা থানার উপপরিদর্শক সুব্রতকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. নওশাদ আলী বলেন, ওই ব্যক্তির পেট থেকে মোট ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট অক্ষত ছিল। বাকি ১৫টি ফেটে যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে বড়ি ছিল।
নওশাদ আলী বলেন, প্যাকেট ফেটে বড়ি বের হয়ে গলে যাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, শুকুরের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা লাশ নেওয়ার জন্য আসছেন। তারা এলেই লাশ হস্তান্তর করা হবে।