ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

উপনির্বাচন

পাবনা-৪ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে

পাবনা প্রতিনিধি
🕐 ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোনো ধরনের বিরতি ছাড়া ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে সব ধরনের নির্বাচনি প্রচারণা। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আবদুল লতিফ শেখ জানান, পাবনা-৪ আসনে দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন।

এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৬৯৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪১৫ জন। এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তিনজন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাস (নৌকা), বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব (ধানের শীষ) এবং জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম (লাঙ্গল)।

ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৯টি। নির্বাচনের দিন এসব ভোট কেন্দ্রে ২ হাজার ৩০১ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।

ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, সার্বিক পরিবেশ ভালো রয়েছে। সব কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার মোতায়েন আছে। এছাড়া নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য এর আগে গত ২৩ আগস্ট পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ২ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হয় ৩ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল দাখিল ছিল ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

মনোনয়নপত্র বাতিলের আপিল নিষ্পত্তি করা হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৮ সেপ্টেম্বর। এর পর থেকেই তিন প্রার্থী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা যাওয়ায় পাবনা-৪ (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।

গত ২ এপ্রিল তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় অনুযায়ী সংসদ ভেঙে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে ইসি আরও ৯০ দিনের মধ্যে এই নির্বাচন করতে পারবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবারে সেই পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত যাচ্ছে নির্বাচন।

 
Electronic Paper