রাজশাহীর মৎস্যচাষিদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী
🕐 ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
করোনাভাইরাসে লকডাউনের লোকসান কাটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন রাজশাহীর মৎস্যচাষিরা। লকডাউনের সময় দাম কম ও ঢাকায় সরবরাহ করার সুযোগ কমে যাওয়ায় মাছ বিক্রি করতে পারেননি চাষিরা। লকডাউন তুলে নেওয়ার পর মাছ বিক্রি পুরোদমে শুরু হয়েছে। দাম কিছুটা কম হলেও মাছ বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিদিন ১৪০ ট্রাক কার্পজাতীয় তাজা মাছ ঢাকায় যাচ্ছে রাজশাহী থেকে। বছরে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয়। তবে গত কয়েকদিন আগে পুকুরে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে একদিনেই রাজশাহীতে মারা গেছে ১২ কোটি টাকার মাছ। এতে বেশকিছু মৎস্যচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
চাষিরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে মাছের দাম এখনো আগের মতো স্বাভাবিক হয়নি। কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা কমে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া মাছের খাবারের দামও বেশি। তবে লকডাউনের পর যেহেতু পুরোদমে মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে, আশা করছি আবার আগের মতো মাছের দাম স্বাভাবিক হবে।
রাজশাহী মৎস্য অধিদফতর জানায়, জেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে মোট ৫০ হাজার পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরে প্রতি বছর গড়ে ৮১ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়, যাদের ৮৫ শতাংশ কার্পজাতীয় মাছ।
দেশের মধ্যে কার্পজাতীয় মাছ উৎপাদনে শীর্ষে রাজশাহী। রাজশাহীর চাহিদা পূরণ করে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ ট্রাক তাজা মাছ ঢাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এক একটি ট্রাকে ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি মাছ ধরে। মোট মৎস্যচাষি ১৭ হাজার হলেও মৎস্য উৎপাদন, চাষবাস ও বিপণন-বিক্রয়ের সঙ্গে রাজশাহীর প্রায় ৯ লাখ মানুষ জড়িত। বছরে প্রায় ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয়।
রাজশাহীর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা জানান, রাজশাহীতে খামারি, নার্সারি ও হ্যাচারিÑ তিনটি পর্যায়ে মৎস্য চাষ করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে মৎস্য খাতের তিনটি পর্যায়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতির তালিকা মৎস্য অধিদফতরে পাঠিয়েছি।
এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো প্রণোদনা আসেনি। তবে কৃষিখাতের ৪ শতাংশ হার সুদে প্রণোদনার প্যাকেজ অনেক মৎস্যচাষি পেয়েছেন।