ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আত্রাইয়ে মুয়াজ্জিনের কবুতরপ্রেম

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ)
🕐 ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২০

শান্তির প্রতীক কবুতর। বর্তমানে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে কবুতর প্রতিপালন করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ শখের বশে কবুতর পালন করে থাকেন। এমন করেই নওগাঁর আত্রাইয়ে কবুতর প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন শরিফুল ইসলাম। তিনি ৫ ওয়াক্ত আজান ও নামাজের পর অবসর সময় পার করতে এবং বাড়তি আয় করে স্বাবলম্বী হতে গড়ে তুলেছেন দেশি-বিদেশি বাহারি কবুতরের খামার। কবুতর তার খুবই প্রিয়। কবুতর প্রীতিতে তিনি যেন বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

জানা যায়, ক্বারি মো. শরিফুল ইসলাম উপজেলার মালিপুকুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন। তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের চকদৌলত গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে। প্রায় বছর দেড়েক আগে তিনি এ মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে যোগদান করেন।

অবসর সময় পার করতে অনেকটা শখ করেই প্রথমে কয়েকটি কবুতর কিনে পালতে শুরু করেন। কিন্তু পরবর্তীতে কবুতরের প্রতি তার ভালোবাসা বেড়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেশি-বিদেশি রকমারি কবুতর সংগ্রহ শুরু করেন। এক পর্যায় গড়ে তোলেন দেশি-বিদেশি কবুতর খামার। বর্তমানে তার ফার্মে সিরাজি, মক্কি, লাটকা, ময়ূরী, গীরিবাজ, বোখারাসহ দেশি-বিদেশি প্রায় ১০০ জোড়া কবুতর রয়েছে। মূল্যবান এসব কবুতর তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করেছেন।

মুয়াজ্জিন কারি শরিফুল ইসলাম জানান, কবুতরের প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা জন্মেছে। কবুতর প্রতিপালন করে একদিকে আমার সময় কাটে, অপরদিকে আয়ও হয়। আমার খামারে যেসব কবুতর রয়েছে তার সবগুলোই দর্শনীয় এবং উচ্চ মূল্যের। বর্তমান বাজারে সিরাজি ২ হাজার ৫০০ টাকা জোড়া, মক্কি ২ হাজার ৫০০ টাকা জোড়া, লাটকা, ২ হাজার টাকা জোড়া ময়ূরী ২ হাজার ২০০ টাকা জোড়া, গীরিবাজ ইন্ডিয়ান ১ হাজার ২০০ টাকা জোড়া, গীরিবাজ দুবাই ১ হাজার ৭০০ টাকা জোড়া, এবং বোখারা ৩ হাজার টাকা জোড়া ক্রয় বিক্রয় হয়। আমার এ কবুতর ফার্ম থেকে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়।

মসজিদের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের মুয়াজ্জিন সাহেব খুব কর্মপরায়ণ। আমরা মসজিদ থেকে যে হাদিয়া দেই তা অপ্রতুল।

এর সঙ্গে তিনি কবুতর ফার্ম করে বাড়তি আয় করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। এটা সবার জন্যই অনুপ্রেরণার। সব মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন পাশাপাশি অন্য কোনো পেশায় সম্পৃক্ত হতে পারলে তারাও সমাজে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

 
Electronic Paper