ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সিরাজগঞ্জে মৌসুমী কোরবানীর মাংসের হাট

এইচ এম আলমগীর কবির, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৮:২০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০১, ২০২০

প্রতি বছরের মতো এবারোও সিরাজগঞ্জে বসেছে মৌসুমী কোরবানীর মাংসের হাট। পাড়া-মহল্লাহ বা স্টেশন এলাকায় যেখানে সুযোগ পেয়েছেন সেই জায়গায় বিক্রি করছেন মাংস। পেশাদার কোন মাংস ব্যবসায়ী না এরা। গরিব, অসহায় ও শিশুরা এই মাংস বিভিন্ন বাসা বাড়ী থেকে সংগ্রহ করে বসেছে বিক্রি করতে। তবে যারা কোরবানী দিতে পারে নাই তারাই এই খোলা বাজারে কমমুল্যের মাংস ক্রয় করতে ভির জমাচ্ছেন। দানের মাংসোগুলো এখন রিতিমতো ব্যবসায়ী রুপ নিয়েছে।

ঈদের দিন (শনিবার ১ আগষ্ঠ) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বাজার ষ্টেশন, বড়পুল, চৌরাস্তা, কাজিপুর রাস্তার মোড়, কাঠেরপুর, এলাকা গুড়ে দেখা গেছে এই চিত্র।

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী গ্রামের মৌসুমী মাংস বিক্রেতা ছানোয়ার বলেন, গরু জবাই করার পড়ে বাড়ীতে মাংসো নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের মাংস দেয়। কিন্তু বাড়ী দুরের পথ হওয়ায় মাংস নষ্ট হয়ে যাবে। তাই বাড়ীতে না নিয়ে গিয়ে এখানে বিক্রি করছি।

পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনী গ্রামের রিক্সাচালক জামাল শেখের ছেলে জাহিদ বলেন, গরীবের ঘরে জন্ম নিয়েছি। তাই ঈদে জামা-কাপড় কিনে দিতে পারে নাই বাবা। তাই বাড়ী-বাড়ী ঘুরে ৫ কেজি মাংসো সংগ্রহ করেছি। ২ কেজি বাড়ী মা-বাবাদের সাথে খাবো। বাকী ৩ কেজি ১ হাজার ৩শত টাকায় বিক্রি করেছি।

এই টাকা তুমি কি করবে প্রশ্নের উত্তরে ছেলেটি বলে ঈদে বাবা-মা জামা কাপড় কিনে দিতে পারে নাই। তাই এই টাকায় প্যান্ট সার্ট কিনবো।

মাংসো ক্রেতা পাশান শেখ বলেন, এবার কোরবানী দিতে পারি নাই। এজন্য বাজার স্টেশন এলাকা থেকে মাংস কিনলাম। এখানে দাম কম হওয়াতে আড়াই কেজি মাংস ১ হাজার টাকায় কিনেছি। এই মাংস পরিবারের সদস্যেদের নিয়ে খাবো।

বাজার স্টেশনের অস্থায়ী পরিমাপক সাকমান আলী বলেন, মৌসুমী মাংস বিক্রেতাদের দাঁড়িপাল্লা না থাকায় আমি মাংসগুলো মাপ দিচ্ছি। কেজি প্রতি ১০ টাকা আমি পাচ্ছি। দিনমজুর মানুষদেরও উপকার হলো সেই সাথে আমারও একটু পকেট খরচ উঠলো।

 
Electronic Paper