ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অলক্ষ্যেই কে বা কারা বসিয়ে গেছে স্মৃতিসৌধের রেপ্লিকা

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী
🕐 ৯:৪০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২০

আড়াই বছর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে রাজশাহী নগরীর গ্রেটার রোডের বহরমপুর মোড়ে টমটম ভাস্কর্য স্থাপন করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। ভাস্কর্যটি স্থাপনের পর এই মোড়টির নাম দেওয়া হয় ‘ঐতিহ্য চত্বর’। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং মহানগরী সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে ঘোড়ার গাড়ি ভাস্কর্য অর্থাৎ টমটম ভাস্কর্য এবং ঐতিহ্য চত্বর নামকরণের ফলক উন্মোচন করে এর উদ্বোধন করেন রাসিকের তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এই ভাস্কর্যটির একেবারে পাশেই মাত্র এক ফুট দূরত্বে ঘোড়ার পায়ের কাছে স্থাপন করা হয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতিবিজড়িত জাতীয় স্মৃতিসৌধের রেপ্লিকা। ভাস্কর্যের ঘোড়াটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যতখানি তার অর্ধেকেরও কম আয়তনের কাঁচের তৈরি স্মৃতিসৌধের এই রেপ্লিকা। ঘোড়াটির পেছনের পা থেকে এক ফুট দূরত্বে ও টমটমটির প্রায় মাঝামাঝি স্থানে স্থাপন করা হয়েছে এটি। গতকাল বুধবার সকালেও সেখানে এই রেপ্লিকা দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কে বা কারা মাসখানেক আগে ঘোড়ার পায়ের কাছে এটি স্থাপন করে গেছে। এর বেশি কিছু তাদের জানা নেই।

অভিজ্ঞ মহল বলছেন, একটি ঐতিহ্যবাহী ভাস্কর্যের পাশে স্মৃতিসৌধের রেপ্লিকা স্থাপন করা ঠিক হয়নি। তাও আবার ঘোড়ার পায়ের কাছে।

তবে, এ ব্যাপারে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) কর্তৃপক্ষ কিছুই জানে না বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) মোস্তাফিজুর রহমান মিশু খোলা কগজকে বলেন, এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের কাছে কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি। সেটি সরিয়ে ফেলা হবে। 

টমটম ভাস্কর্যটি উদ্বোধনের সময় রাসিকের তৎকালীন সচিব খন্দকার মাহাবুবুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মীর শাহরিয়ার সুলতান, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক ওই সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ঢালায় ও ফাইবার সিট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই টমটম ভাস্কর্যটি। শিল্পী ফয়সাল মাহমুদ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন। ভাস্কর্যটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৭ লাখ টাকা। যা নির্মাণে দুই বছর সময় লেগেছে।

 
Electronic Paper