ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নড়াইলে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

নেই কেন্দ্রীয় অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ

শরিফুল ইসলাম বাবলু, নড়াইল
🕐 ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০২, ২০২০

করোনা আক্রান্তদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে হাইফ্লো অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, আইসিইউয়ের সঙ্গে রক্তের প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার সুবিধা প্রয়োজন। অথচ নড়াইলের সরকারি বা বেসরকারি কোনো হাসপাতালে নেই এসব সুবিধা। মৃদু উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসা হলেও বাকিদের খুলনা বা ঢাকায় পাঠানো হয়।

৩০ জুন পর্যন্ত নড়াইলে করোনা আক্রান্ত ১৭৯ জনের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে জেলায় ৩০ জন চিকিৎসক এবং ৩৮ জন নার্স করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালে দেখা গেছে, হাসপাতালের ২০টি বেড, শহরের ডুমুরতলা এলাকার সরকারি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারকে কোডিভ বিশেষায়িত হাসপাতাল ঘোষণা করে ১০০টি বেডসহ জেলায় সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ১৯০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। তবে জরুরি প্রয়াজনে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ বা এনআইসিইউয়ের সুবিধা নেই।
করোনা আক্রান্ত নয়ন শেখের বড় ভাই হুমায়ুন কবীর বলেন, নয়নের জ্বর শ্বাসকষ্ট হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের সবাই খুব অমানবিক আচরণ করে। রাতে শ্বাসকষ্ট হলে কেউ কাছে আসেনি। নার্সদের ডাকলে রাগ দেখিয়েছে। একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেখিয়ে দেয়। কিন্তু তাতে কোনো অক্সিজেন ছিল না। পরে নয়নকে ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান সে চিকিৎসা নিচ্ছে এবং ভালো আছে।
 নড়াইল সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মশিউর রহমান বাবু বলেন, আমাদের সাধ্যমত রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। বতমানে নড়াইল সদর হাসপাতাে আটজন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নার্সরা রোস্টার অনুযায়ী রোগী দেখেন এবং বিধি মোতাবেক কোয়ারান্টিনে থাকেন। আমাদের হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। তবে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ বা এনআইসিইউ নেই।
সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, জেলায় ২২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় অক্সিজেন চালুর জন্য একটা প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বিতর্কিত রেমডিসিভির ওষুধের সরবরাহ নেই এবং আক্রান্তদের জন্য এ ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, আমরা জেলার করোনা পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার আরও উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখন সরকারের পাশাপাশি বিত্তশালী ব্যক্তিদেরও এগিয়ে আসার আহ্বন জানান তিনি।

 
Electronic Paper