ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আইসিইউ না পেয়ে ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ ভাইয়ের মৃত্যু

চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, জুন ০৭, ২০২০

টাকার দিকে তাকায়নি অবস্থাপন্ন পরিবারটি। করোনার উপসর্গ নিয়ে গুরুতর অসুস্থ দুই ভাইকে বাঁচানোর জন্য পানির মতো টাকা ঢেলেছে অক্সিজেনে-ওষুধে-হাসপাতালে। একটি আইসিইউর জন্য যত টাকা লাগে, দিতে রাজি ছিল পরিবারটি। কিন্তু না, আইসিইউ মেলেনি। একটি আইসিইউর খোঁজে পুরো চট্টগ্রাম চষে বেড়িয়েছেন তার স্বজনরা। মেলেনি শেষ পর্যন্ত। ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসিন্দা দুই ভাইয়ের।

পরিবারিক সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে তাদের কাছ থেকে করোনা পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হলেও ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি। মৃত এই দুই ভাই হলেন, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব দেওয়ান নগর জোহরা বাপের বাড়ির মরহুম গোলাম রসুলের ছেলে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মো. শাহ আলম (৩৬) এবং তার ছোট ভাই হাটহাজারী বাজারের এন জহুর মার্কেটের কাপড়ের দোকানের ব্যবসায়ী মো. শাহ জাহান (৩২)।

গত শুক্রবার (৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান শাহ আলম। এর মাত্র ৮ ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে চমেক হাসপাতালেই মারা যান ছোট ভাই ব্যবসায়ী শাহজাহান। হাসপাতালে আইসিইউ বেড পাওয়া না যাওয়ায় অনেকটা বিনা চিকিৎসাতেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হলো।

পরিবারের সদস্যরা জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে দুই ভাই চার দিন আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে তাদের শ্বাসকষ্ট চরমে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু কোনোভাবেই আইসিইউর ব্যবস্থা করতে না পারার একপর্যায়ে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালেই মারা যান শাহ আলম।

অপর ভাই শাহজাহানও শ্বাসকষ্টে ভুগতে ভুগতেই রাত ১০টার দিকে মারা যান। শাহ আলম সবজি ব্যবসা করতেন দুবাইয়ে। গত জানুয়ারিতে ছুটিতে দেশে আসার পর লকডাউনের মাঝে আটকা পড়ে আর দুবাইয়ে ফিরতে পারেননি। বিবাহিত শাহ আলমের ৬ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।

অন্যদিকে তার ছোট ভাই শাহজাহানের রয়েছে হাটহাজারী বাজারের এন জহুর শপিং সেন্টার মার্কেটে একটি কাপড়ের দোকান। স্ত্রী ছাড়াও তার রয়েছে ৫ ও এক বছর বয়সী দুটি সন্তান।

 
Electronic Paper