করোনার লক্ষণ নিয়ে রাজশাহীতে আইসোলেশনে ৪ জন
রাজশাহী প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ০৭, ২০২০
করোনার প্রাথমিক উপসর্গ জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে রাজশাহীর সংক্রমক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালের আইসোলেশনে এখন চারজন রয়েছেন। তারা করোনা আক্রান্ত কিনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনার চিকিৎসার জন্য গঠিত কমিটির নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, আইডি হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা চারজন রোগীর মধ্যে তিনজনই নতুন। এদের একজন রাজশাহী শহরের বাসিন্দা। আরেক জন এসেছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা থেকে। এছাড়া চতুর্থজন পাবনা থেকে এসেছেন।
তাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে রাখা হচ্ছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫ ও ১৮। প্রত্যেককেই মাস্ক পড়িয়ে রাখা হয়েছে। আর পিপিই ব্যবহার করে সুরক্ষিতভাবেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
ডা. আজিজুল হক আজাদ জানান, আইসোলেশনে থাকা চারজনের মধ্যে একজন আতঙ্কিত। তাই তাকে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। ওষুধও দিতে হচ্ছে। তবে আতঙ্ক মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকলে ভালো। আতঙ্ক না থাকলে মানুষ অসচেতন থাকে, তখন ভাইরাস ছড়াতে পারে। কিন্তু আতঙ্ক আবার তীব্র হলে রোগীরা সমস্যায় পড়েন বলেও উল্লেখ করেন এ চিকিৎসক।
তিনি বলেন, আজকের মধ্যেই এ চারজনের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এতে কেউ করোনা পজিটিভ হলে তাকে আর সন্দেহভাজন রোগীর সঙ্গে রাখা হবে না। এজন্য বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতাল অধিগ্রহণেরও চেষ্টা চলছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
আইসোলেশনে থাকা কেউ করোনা পজিটিভ হলে তাকে প্রাইভেট হাসপাতালেই রাখা হবে। সেখানে কারও অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে তাকে নিয়ে আসা হবে রামেক হাসপাতালের ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানে কারও অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হবে।
এ মুহূর্তে ১৫টি ভেন্টিলেটর রয়েছে এবং আরও পাঁচটি আসতে পারে জানিয়ে ডা. আজাদ বলেন, চিকিৎসা পরিকল্পনা চূড়ান্ত। চিকিৎসকদেরও টিম করা হয়েছে। একজন চিকিৎসক আক্রান্ত রোগীর সাতদিন চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে। চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংকালে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌসও উপস্থিত ছিলেন।