ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ

নওগাঁ প্রতিনিধি
🕐 ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ০৫, ২০২০

নওগাঁ সদরের গ্রামবাসীরা নিজেরা চাঁদা উঠিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছেন। উপজেলার কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামে প্রবেশের রাস্তাটি তৈরী করেছে এলাকাবাসী। এতে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরণ হয়েছে তাদের।

জানা গেছে, হরিরামপুর গ্রামে প্রবেশে মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সরকারি দফতরে গত কয়েক বছর ধরে ধরনা দিয়ে আসছিলেন এলাকাবাসী। রাস্তা তৈরী করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলো। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গ্রামবাসীর একটি মাত্র চলাচলের রাস্তা।

যা দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার কাজ না হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। রাস্তাটি পুকুরে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়ায় প্রায় অর্ধেক পরিমান রাস্তা পুকুরের মধ্যে চলে গেছে। এতে আরও ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়ে রাস্তাটি।

প্রায় দুর্ঘটনা ঘটত। স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত ফসল ঠিক সময় বাজারজাত করা যেত না। অবশেষে গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেরা চাঁদা তুলে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনে স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে রাস্তাটি তৈরী করছেন। গ্রামের প্রায় শতাধিক ছোট-বড় সকলের অংশগ্রহণ করে রাস্তা নির্মাণ করছেন।

গ্রামের বাসিন্দা সুলতান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ধরনা দিয়েছি। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ইটসোলিং রাস্তা করে দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তাটি পুকরের পাশ দিয়ে যাওয়ায় রাস্তা ভেঙে পুকুরে নেমে গেছে। এতে গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কাজের উদ্যোক্তা রওশন আলী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে অনেক বার রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নেয়নি। আমরা গ্রামবাসী নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে সবাই সাধ্যমতো চাঁদা দিয়ে রাস্তা এবং পুকুরের পাশে বাঁশের প্যালাসাইডিংয়ের কাজ করছি।

নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান বলেন, ওই রাস্তাটি পুকুরের পাশে হওয়ায় প্যালাসাইডিং করতে যে খরচ হবে তার বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে নাই। ওই রাস্তার জন্য এডিপি প্রকল্পের আওতায় একটা বাজেট হয়েছে।

 

 
Electronic Paper