ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

করোনা সংকট

এলাকায় নেই বর্তমান ও সাবেক এমপি

মিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
🕐 ১২:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২০

কারোনা ভাইরাসে পুরো দেশ স্থবির। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলাদেশও রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এ অবস্থায় অধিকাংশ জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাচ্ছে না রাজশাহীর দুর্গাপুরের জনগণ। অনেকেই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে রয়েছেন। জনপ্রতিনিধি এবং সামাজের বিত্তবানরাও যেন তাদের কান্না শুনছেন না। তবে গত শনিবার সরকারি উদ্যোগে উপজেলার তিন হাজার দুইশ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন ইউএনও মহসীন মৃধা। এদিকে, সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্যক্তি উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ, মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস বিতরণ করা হচ্ছে।

তবে (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনে সংসদ সদস্য (এমপি) থাকলেও তারা এ সংকটময় সময়ে এলাকায় নেই। তবে অনুসারীদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ধনাট্য ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ দারারও দেখা মিলছে না তার নির্বাচনি এলাকায়। এ নিয়ে সংকটে বর্তমান ও সাবেক এমপি না আসায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুল ওয়াদুদ দারা (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য ও ধনাট্য গামেন্টস ব্যবসায়ী। বর্তমানে তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও এলাকায় রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা।

ভোটের আগে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও এখন দু:সময়ে পাশে নেই সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ দারা। তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এদিকে, বর্তমান এমপি ড. মনসুর রহমান গত সপ্তাহের বুধবার দুর্গাপুরে ঝটিকা সফরে আসেন। এরপর তাকে আর এই এলাকায় দেখা যায়নি। তিনি বর্তমান রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। আর উপজলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে অনন্ত ১১জন চেয়ারম্যান করোনা সচেতনতায় শুরু থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করছেন।

জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব করোনা থেকে জনগণকে রক্ষা করতে এক সপ্তাহ ধরে হাট-বাজার, মাঠ-ঘাট, বাসা-বাড়িতে প্রচার-প্রচারণায় রয়েছেন।

উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের সোলেমান, আব্দুল হক ও মোহাম্মাদ আলী নামে কয়েকজন হতদরিদ্ররা জানান, ইউএনও ও চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় তাদের কাছে ১০ কেজি চাল পৌছে দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান ও সাবেক এমপিসহ কোন নেতাকর্মিরা তাদের খোঁজখবর রাখছেন না। তারা বলেন, গত কয়েক দিন থেকে ঘরে বসে আছি। আতষ্কে কাজ কর্ম নেই। এজন্য রাজনৈতিক নেতাকর্মিসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহব্বান জানান তারা।

জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, জেলাতে ১৭মার্চের পোগ্রাম করে তিনি এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, করোনা নিয়ে আমার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। এছাড়াও (দুর্গাপুর-পুঠিয়া)সহ পুরো রাজশাহীর সার্বিক খোঁজ খবর নিচ্ছি প্রতিনিয়ত। আগামী ৪ এপ্রিলের পর রাজশাহীতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবেন বলে জানান তিনি।

সংসদ সদস্য ড. মনসুর রহমান বলেন, আমি সার্বক্ষনিক দুর্গাপুর-পুঠিয়ার খোঁজ খবর নিচ্ছি। গত সপ্তাহের বুধবার দুর্গাপুর ও পুঠিয়ায় গিয়েছিলাম। আগামী সোমবার আবারো যাবো। তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগে ৩২ চাল উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। এরপরও এলাকা চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হবে।

 
Electronic Paper