ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বগুড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু, ১৫ বাড়ি লকডাউন

বগুড়া প্রতিনিধি
🕐 ৩:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২০

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে ওই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এরপর থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই ব্যক্তির বাড়ির আশ-পাশের ১৫টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা গেছে, ৪৫ বয়সী ওই ব্যক্তি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন। সেখান থেকে গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) উপজেলা ময়দানহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি। এরপর থেকে তার প্রচণ্ড জ্বর ও সর্দি-কাশি শুরু হয়।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির জানান, মৃত ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের মাধ্যমে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী জানান, আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাতে বলেছেন। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

শিবগঞ্জের ইউএনও আলমগীর কবির জানান, ওই ব্যক্তি গাজীপুরে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার তিনি শিবগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে আসেন। তার সর্দি-কাশি এবং গায়ে জ্বর ছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার অসুস্থতার খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একজন চিকিৎসককে পাঠানো হয়েছিল তার বাড়িতে। কিন্তু তখন তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ইউএনও আলমগীর কবির বলেন, যেহেতু ওই ব্যক্তির মধ্যে করোনা উপসর্গ ছিল সে কারণে তার শরীরের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই ব্যক্তির বাড়ির আশ-পাশের ১৫টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে হটলাইনে বিষয়টি জানার পর মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিক আমিন ওই ব্যক্তিকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন। পরে তিনি বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন গউসুল আজিম চৌধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীকে জানান। বিষয়টি শোনার পর সিভিল সার্জন একজন চিকিৎসককে ওই ব্যক্তির বাড়িতে পাঠান।

শফিক আমিন বলেন, হাসপাতালের হটলাইনে ফোন করা নারীর বর্ণনা শুনে মনে হলো, মানবতার কাছে আমরা হেরে গেছি। করোনায় আক্রান্ত হোক বা নাই হোক, একজন নাগরিক হিসেবে তার চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা কেউ তার পাশে দাঁড়াতে পারিনি। আমি নিজেও সকাল থেকে আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগের দীর্ঘ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। শেষে সিভিল সার্জন ও পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।

সিভিল সার্জন গউসুল আজিম চৌধুরী জানান, ওই ব্যক্তির বাড়িতে একজনকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তির বাড়িতে যাওয়া চিকিৎসক জানান ওই ব্যক্তি আর বেঁচে নেই।

 

 
Electronic Paper