সারাদেশে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার নানান পদক্ষেপ নিচ্ছেন। গত রবিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে জেলা জুড়ে সব চা-স্টল, কফি হাউজ, খাবারের হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সাপ্তাহিক হাট ওই দিন থেকেই বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন যে কোন মূল্যে নিশ্চিত করা।

হোম কোয়ারেন্টাইন চিহ্নিত করতে বাড়ির সামনে স্টিকার লাগানো এবং সকল প্রকার সমিতি, এনজিও সংস্থার কিস্তি সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এমন নির্দেশ দিলেও গ্রাম ও মফস্বল এলাকায় করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে ধারণা না থাকার কারণে এখনো গুরুত্ব দিচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

গতকাল রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চা-স্টল, খাবারের হোটেলসহ বিভিন্ন দোকান খোলা ছিল এবং জনসাধারণের অবাধ চলাচল ছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া সরকারের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে এনজিও’র লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায় করেছেন বলে জানিয়েছেন ঋণ গ্রহীতারা।

রাণীনগর উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করেছে। এরপরেও গ্রামের লোকজনের মধ্যে করোনা ভাইরাস নিয়ে তেমন গুরুত্ব নেই। এমন কি রাণীনগর পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি স্থানে হাত পরিস্কার করার জন্য সাবান ও পানির ড্রাম বসানোর কারণে অনেকে সেটাকে তিরস্কারমূলকভাবে দেখছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদি কেউ অমান্য করে তাহলে আইন প্রয়োগ করে নির্দেশনা মানতে বাধ্য করা হবে।