ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভাষা মতিন পাঠাগার এখন ইউপি কার্যালয়

মির্জা শহিদুল, চৌহালী
🕐 ৩:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ধুবুলিয়া গ্রামে ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিন স্মৃতি পাঠাগার এখন ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন আব্দুল মতিন। ভাষা আন্দোলনের পর থেকে তিনি ‘ভাষা মতিন’ নামেই সর্বাধিক পরিচিতি পান। তিনি ছিলেন অকুতোভয় এক সংগ্রামী নেতা। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু সেই সংগ্রামে অবিচল থেকে গেছেন তিনি।

ভাষা মতিন স্মৃতি পাঠাগারটি ২০০৭ সালে তার গ্রামের বাড়ি চৌহালী উপজেলার ধুবুলিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাঠাগারের বই এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি দখলে নিয়েছে উমারপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য। পরে পাঠাগারের ঘরটি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন ইউপি চেয়ারম্যান। স্থানীয়রা ঘরটি ফেরত পেতে চাইলে তাদের অশালীন ভাষায় গালাগাল করা হয়। আর স্থানীয় ইউপি, জেলা প্রশাসনে অভিযোগ করেও মেলেনি কোনো প্রতিকার। স্মৃতি রক্ষায় তার গ্রামের বাড়িতে নেই আর কোনো কিছ্ইু।

পাঠাগারের পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, ২০০৭ সালে প্রশিকার চেয়ারম্যান ডা. কাজী ফারুক পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় ৩০ ফুট লম্বা টিনের একটি ঘর এক হাজার ৫০০ বই এবং যাবতীয় সরঞ্জাম দিয়ে পাঠাগারটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০১২ সালে যমুনার ভাঙনে গ্রামটি ভেঙে যায়। পাঠাগারের বই, ঘর ও সরঞ্জাম স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিমের বাড়িতে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি পাঠাগারের কোনো কিছুই ফেরত না দিয়ে আমাকে অশালীন গালিগালাজ ও হুমকি দেন।

ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম বলেন, নদী ভাঙনের সময় পাঠাগারটি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভেঙে নিয়ে গ্রামের এক জায়গায় রেখে দেই। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ঘরটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে তোলেন এবং বর্তমানে পরিষদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ঘরটি ভাঙা অবস্থায় ছিল। আমি মেরামত করে রেখেছি। ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিমের বাড়িতে বইগুলো রয়েছে। সে বইগুলো উদ্ধার করেন, এরপর আমি ঘর ছেড়ে দেব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন, সেই সময়ের অভিযোগের কপি আমাকে দিলেও হবে, অথবা নতুন করে আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি ব্যবস্থা নেব।

 
Electronic Paper