আদমদীঘিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ডাক কার্যক্রম
আবু মুত্তালিব মতি, আদমদীঘি (বগুড়া)
🕐 ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার দীর্ঘ দিনের পুরাতন প্রধান ডাকঘর এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। অফিস ভবনসহ বাসভবনটির দেওয়াল, ছাদের পলেস্টার চটে বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল ও বাঁক ধরে হেলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ডাকঘরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। আকাশের বৃষ্টি হলেই নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান ডাক টিকিটসহ কাগজপত্র।
জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরে ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত এই প্রধান ডাকঘরটির অধীনে শালগ্রাম, কালাইকুড়ি, বিশিয়া, ভান্ডাগ্রাম, বিহিগ্রাম ও আবাদপুকুরসহ ৬টি শাখা ডাকঘর রয়েছে। আদমদীঘি প্রধান ডাকঘরে ১ জন পোস্ট মাস্টার, ১ জন পোস্টাল অপারেটর, ১ জন পোস্টম্যান, ১ জন প্যাকার, ১ জন রানার ও ১ জন নৈশ্য প্রহরী রয়েছে। ১৯৮৪ সালে তিনকক্ষ বিশিষ্ট ডাকঘর ও দুইকক্ষ বিশিষ্ট পোস্ট মাস্টারের বাসভবন প্রাচীরসহ উপজেলা সদরে এই প্রধান ডাকঘর ভবন নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে অদ্যবদি ভবনটিতে কোন রং কিংবা মেরামত করা হয়নি।
ফলে ক্রমেই নষ্ট হতে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ এই ডাকঘরটি। প্রায় ১১ বছর পূর্বে প্রধান এই ডাকঘরের প্রাচীর ভেঙে ডাকঘর ভবন ও পোস্ট মাস্টারের বাসভবনের দেওয়াল বেঁকে ছাদে প্লাস্টার চটে প্রাচীর ভেঙে ইট চুরিসহ বিভিন্ন অংশে ফাঁটল ধরে ও পলেস্টারা উঠে ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনটি অল্প বৃষ্টি হলেই পানি চুঁয়ে ঘরের ভিতরে পড়ে। এতে নষ্ট হচ্ছে অনেক মূল্যবান কাগজপত্র। উপজেলা প্রধান ডাকঘর ও বাসভবন ব্যবহারের অযোগ্য হলেও নতুন ভবন নির্মাণ না করায় মারাত্মক ঝুঁকি ও আতংক নিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চালাচ্ছেন কার্যক্রম। অনেক সময় ছাদের পলেস্টার ভেঙে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাথা ও গায়ে পড়ে। যে কোন মুহুর্তে ভবনটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
পোস্ট মাস্টার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ব্যবহারের অযোগ্য এই ডাকঘরটি পুনঃনির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন বারবার চিঠি প্রদান করা হলেও কোন উদ্যোগ নেই ভবন নির্মাণের। বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।