আক্কেলপুরে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে এ পর্যন্ত ১৭২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবেই ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তবে এ চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছোট একটি কক্ষের মধ্যেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রোগীর বেড রয়েছে মাত্র পাঁচটি। রোগী বেশি হলে চিকিৎসা নিতে হয় কক্ষের বাহিরে বারান্দায়।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে ২২ দিনে ১৭২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়া প্রায় ১৪৩ জন রোগী চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাবার স্যালাইন নিয়েছেন অসুস্থ শিশু ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও পুষ্টি কর্নার (আইএমসিআই) থেকে। সরেজমিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০ জন ডায়রিয়ার রোগী। এদের মধ্যে চারজন শিশু।
উপজেলার আওয়ালগাড়ি গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, গত শুক্রবার তার ১১ মাস বয়সী ছেলে আরিফ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। তার ছেলে বেশি অসুস্থ হওয়ায় গতকাল সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রামশালা গ্রামের বেলী আক্তার বলেন, আমার ১০ বছরের নাতি সিয়াম হোসেন গত শুক্রবার থেকে পাতলা পায়খানা আর বমি করছে। ডাক্তাররা বলেছে হাসপাতালে ভর্তি হতে তাই ভর্তি করিয়েছি। তবে ভেতরে জায়গা না থাকায় বারান্দায় বেডে নিয়ে বসে আছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সেবিকা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকেই ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন তার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড না থাকায় রোগীদের বাহিরে বারান্দায় সেবা দিতে হচ্ছে। ডায়রিয়া ও শিশুর যে রুমটি আছে সেখানে মাত্র পাঁচটি বেড আছে। তাই সব রোগীদের ঘরে রাখা সম্ভব হয় না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান বলেন, ঠাণ্ডা ও গরমের কারণে ভাইরাসজনিত সংক্রমণে ভুগছে বিশেষ করে শিশুরা। আক্রান্ত শিশু ও বড়দের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি শিশুদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখা এবং ঠাণ্ডা ও বাসি খাবার না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
ডা. রাধেশ্যাম আগরওয়ালা বলেন, প্রতিদিনের চেয়ে গতকাল একটু ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বেশি ভর্তি হয়েছে। এখানে বর্তমানে কোন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই।