সিরাজগঞ্জে সেই সড়কের নিম্নমানের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৭:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ সিরাজগঞ্জের সেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং হাত লাগাতেই উঠে যাচ্ছে। এদিকে ওই রাস্তার নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। অপরদিকে সাংবাদিকদের মারপিটের ঘটনায় বিভিন্ন মিডিয়ায় সাক্ষাতকার দেয়ায় গ্রামবাসীদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগও উঠেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সরেজমিনে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের খামার পাইকোশা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় লোকজন রাস্তার কার্পেটিং তুলে ফেলেছে। এর আগে গত বুধবার বিকালে ওই রাস্তার কাজে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন করতে গেলে ৫ সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও তার সহযোগীরা।
খামার পাইকোশা গ্রামের নুর জাহান, আলেয়া বেগম, সেলিম রেজা, আল-আমিনসহ অনেকেই বলেন, দুদিন আগে কার্পেটিং করা হয়েছে। আর এখন একটা ধরে টান দিলেই পুরো কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ছোট ছোট ছেলেপেলে টেনে টেনে এসব কার্পেটিং তুলে ফেলছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, বুধবার সাংবাদিকরা রাস্তার কাজে অনিয়মের ছবি তুলতে আসায় তাদের উপর হামলা চালিয়েছে ঠিকাদারের লোকজন। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের সামনে সাক্ষাতকার দেয়ায় এবং সাংবাদিকদের করা মামলায় স্বাক্ষী হিসেবে নাম দেয়ার কারণে সাব-ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম সশরীরে এসে হুমকি দিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার কাজ খারাপ হওয়ার কারণে স্থানীয় লোকজন বেশ কিছু স্থানে পিচ ঢালাই করা কার্পেটিং তুলে ফেলেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বহুলী জিসি-কোনাবাড়ি এনএইচডাব্লিউ ভায়া চন্ডিদাসগাঁতী হাট রোড নামে ৩৬৭০ মিটার এ সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই। দরপত্রের মাধ্যমে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন কাজটি পায়। প্রথমদিকে ৩০ অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত কাজটি শেষ করার মেয়াদ থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়। বর্তমাণে রাস্তাটির বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ জানান, এর আগেও নিম্নমোনের ইট ব্যবহারের অভিযোগে ওই সড়কটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ইট টেস্ট করে আবারও কাজ শুরু করা হয়। বুধবার সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা আমরা জানতে পেরে আবারও কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। বিটুমিনসহ অন্যান্য উপকরণ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কাজ শুরুর অনুমতি দেয়া হবে।