ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আত্রাইয়ে শুঁটকি তৈরির ধুম

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই
🕐 ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০

নওগাঁর আত্রাইয়ের শুঁটকির চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় শুঁটকি তৈরিতে এখন চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার ব্যবসায়ীরা। আহসানগঞ্জ স্টেশন এলাকা জুড়ে এখন শুধু শুঁটকি তৈরির ধুম পড়েছে।

এবার এলাকা জুড়ে বন্যায় বিভিন্ন পুকুরের পানিতে ডুবে যাওয়ায় মাছের বিচরণ অনেক বেশি। তাই জলাশয়গুলোতে ধরা পড়ছে দেশীয় প্রজাতির রকমারি মাছ। আর এ মাছগুলো প্রতিদিন সেই কাক ডাকা ভোর থেকে বিক্রি হচ্ছে আত্রাইয়ের ঐতিহ্যবাহী মাছ বাজার রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন আড়তে। এসব মাছ কিনে শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। গত বছর এলাকায় বন্যা না হওয়ায় দেশীয় প্রজাতির মাছ প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল।

এজন্য শুঁটকি ব্যবসায়ীরা ব্যাপক লোকসানের শিকার হয়ে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সেই লোকসান পুষিয়ে নিতে এবার তারা কোমর বেঁধে শুঁটকি তৈরিতে নেমে পড়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তর জনপদের মৎস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত স্থান সমূহের মধ্যে আত্রাইও একটি খ্যাত স্থান। প্রতিদিন শত শত টন মাছ আত্রাই উপজেলা থেকে রেল, সড়ক ও নৌ-পথে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হয়। সে অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদনেও আত্রাইয়ের যথেষ্ট প্রসিদ্ধ রয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরঞ্চলের রংপুর, নীলফামারী, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরসহ দেশের প্রায় ২০/২৫ জেলাতে বাজারজাত করা হয় আত্রাইয়েয়র শুঁটকি মাছ। আর এ মাছের শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় শতাধিক পরিবার। উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রাম শুঁটকি তৈরিতে বিশেষভাবে খ্যাত।

এ গ্রামে শতাধিক শুঁটকি ব্যবসায়ী এ পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত। গত বছর বাজার মন্দা থাকায় এসব শুঁটকি ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কাঁচা মাছের আমদানি কম, বাজারে মূল্য বেশি অন্যদিকে শুঁটকির বাজারে ধস। সব কিছু মিলিয়ে তাদের গুণতে হয়েছিল লোকসান। তাই এবার মাছের ব্যাপক আমদানি, মূল্য কম এবং শুঁটকির বেশি মূল্য থাকায় তাদের চোখে-মুখে হাসির ঝলক ফুটে উঠেছে।

সচেতনমহলের মতে, ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হলে প্রতিবছর প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের শুঁটকি শিল্পে বিপুলসংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান করা সম্ভব।

 

 

 
Electronic Paper