ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

লবণে মাটির শক্তি হারানোর শঙ্কা

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
🕐 ৭:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২০

রাজশাহীর দুর্গাপুরে আলু লাগানো শেষ। এখন চলছে পেঁয়াজ লাগানোর কাজ। কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুরসহ আশপাশের এলাকায় কৃষি জমিতেগুলোতে আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ। গত এক যুগের তুলনায় বর্তমানে ফসল উৎপাদনও বেড়েছে তুলনামূলকভাবে। কিন্তু অধিক ফলনের আশায় এই অঞ্চলের চাষিরা উর্বর কৃষি জমিগুলোতে অধিক পরিমাণে লবণ প্রয়োগ করছেন।

চলতি মৌসুমে চাষিরা অধিক ফলনের আশায় আলু ও পেঁয়াজের জমিতে ব্যাপক হারে লবণ প্রয়োগ করছেন। ফলে একসময় এসব উর্বর ফসলি জমিগুলো ধীরে ধীরে লবণাক্ততায় জীবন শক্তি হারাবে বলে আশষ্কা করছেন কৃষিবিদরা।

জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার দাওকান্দি, হাটকানপাড়া, জয়নগর, উজানখলসী, হরিরামপুর, দেবীপুর, রাতুগ্রাম, নান্দিগ্রাম, ধরমপুর, শানপুকুরিয়া, বেলঘরিয়া, শ্রীধরপুর, বখতিয়ারপুর, আমগ্রাম ও শ্রীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার জমিগুলোতে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে প্রচুর পরিমাণ আলু ও পেঁয়াজ আবাদ হয়ে থাকে।

চাষিরা ওইসব জমিতে জৈব সার ব্যবহার না করে বা জৈব সার সংকটে চাষিরা শুধুমাত্র রাসায়নিক সার ব্যবহার করে বছরের পর বছর আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে আসছে। বর্তমানে চাষিরা জৈব সার ব্যবহার না করে অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে ফসলের উৎপাদন কমে গেছে। উৎপাদন কম হওয়ায় এসব এলাকায় চাষিরা বর্তমানে অধিক ফলনের লোভে উর্বর জমিগুলোতে লবণ প্রয়োগ করেছেন।

এতে এই অঞ্চলের উর্বর জমিগুলো ধীরে ধীরে লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। জমিতে লবণ প্রয়োগের ফলে ওই সব জমিতে ২/৩ বছর ফসলের উৎপাদন ভাল হলেও আগামীতে লবণাক্ততার কারণে ফসল উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান জানান, এই উপজেলার মাটি খুবই উর্বর। চাষিরা যদি ভুলক্রমে লবণের ব্যবহার করে তাহলে খুবই দু:খজনক। লবণ প্রয়োগে জমিতে কোন উপকার নেই। লবণের ব্যবহারের ফলে জমির প্রাণ নষ্ট হয়ে যায়। জমি ধীরে ধীরে লবনাক্ত হয়ে পড়ে। আর জমিগুলো লবণাক্ত হয়ে পড়লে পরিবেশ ও আগামী প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়বে।

 
Electronic Paper