জৌলুস নেই যমুনার
চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ২:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে জেগে উঠা অসংখ্য ডুবো চর খনন না করায় নৌ-চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দু’পাড়ের বাসিন্দাদের। শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় এখন প্রস্থ দুই কিলোমিটার। যা বর্ষায় থাকে প্রায় সাত কিলোমিটার। পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় নতুন চর জেগে ওঠায় পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌকা চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
অপরদিকে শুষ্ক মৌসুমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নৌ-পরিবহনে দুর্ভোগ বেড়ে যায়। প্রতি বছর যমুনার তলদেশ ভরাট হওয়ার কারণে হারাতে বসেছে তার অতীত ঐতিহ্য।
এক সময় দূর-দূরান্ত থেকে নৌ-পথে সিরাজগঞ্জ, বেলকুচি, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে ব্যবসায়ীরা আসত বাণিজ্য করার জন্য। সেই দৃশ্য এখন তেমন চোখে পড়ে না। সেই সঙ্গে তলদেশ ভরাট হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই সহজেই দু’কূল ছেপে বন্যা আসে। ভাঙে আবাদি জমি, ঘর-বাড়ি। নিঃস্ব হয় শত শত পরিবার। স্থানীয়-৫ আসনের এমপি আবদুল মমিন মন্ডল জানান, যমুনা যমুনা নদীতে ড্রেজিং করে নদী ভাঙনরোধ ও নাব্যতা সংকট সমাধানে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। নদী খনন হলে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের দুর্ভোগ লাঘব ও নদী ভাঙন রোধ হবে ইনশাআল্লাহ।
গোসাইবাড়ি নৌকা ঘাটের মাঝি আবদুর রহিম ও বাদশা জানান, যমুনায় চর জেগে ওঠায় যাত্রীবাহী নৌকাগুলো বহু দুর দিয়ে ঘুরে ঘুরে চলাচল করছে। এজন্য সময় কয়েকগুণ বেশি লাগায় গত তিন সপ্তাহ ধরে নৌকার যাত্রী কমে গেছে। রুহুল আমিন জানান, যমুনা নদীতে এখন পানি কমে যাওয়ায় নতুন নতুন চর ওঠার কারণে চৌহালী থেকে এনায়েতপুর নৌকা ঘাট হয়ে জেলা সদরে যাতায়াতে শ্যালো নৌকায় দেড় ঘন্টার বদলে এখন প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগে। শ্যালো নৌকা চলছে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ঘুরে। নৌপথ বন্ধের কারণে এক চর থেকে আরেক চরে এখন নৌকার বদলে পায়ে হেঁটে পাড় হওয়া যায়।
এনায়েতপুর নৌকা ঘাটের ইজারাদার ইউসুফ আলী জানান, যেভাবে নদীর পানি কমছে, তাতে নৌকা চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ড্রেজিং করে নৌপথ তৈরি করা না হলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে জেলা সদরের সঙ্গে নৌপথের চৌহালীর যাবতীয় কর্মকাণ্ড স্থরিব হয়ে পড়বে। গত বছর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিষয়টি বলেছিলাম। এছাড়া নিজেদের অর্থায়নে নদী খননের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। এখনই দ্রুত ড্রেজিং করে নৌ চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানাই।