ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

উল্লাপাড়ার অগ্রণী ফুল চাষি

এইচ এম আলমগীর কবির, সিরাজগঞ্জ
🕐 ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২০

ফুলের প্রতি ভালোবাসা থেকে সেই ছোটবেলায় বাড়ির আঙিনায় লাগিয়েছিলেন ফুলগাছ। বড় হওয়ার পর ঝুঁকে পড়েন ফুল চাষে। ৩০-৩২ বছর আগে ফুল চাষ শুরু করেন কৃষক ইদ্রিস আলী। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের চরগুয়াগাতী গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় তিনি ফুল ইদ্রিস নামে পরিচিত। তাকে অনুসরণ করে আজ সেই গ্রামে বিঘা বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে ফুল।

কথা হয় ফুল চাষি ইদ্রিস আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, ৩০-৩২ বছর ধরে তিনি ফুল চাষ করে আসছেন। অন্যান্য ফুল ছাড়াও প্রতিবছর মৌসুমি ফুলের চাষ করেন। এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছেন। এখনো জমিতে যে পরিমাণ ফুল রয়েছে তা আরও এক লাখ টাকায় বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন।

ইদ্রিস আলী বলেন, কাঠমালতি, গ্যালো রিয়াস, ডালিয়া, জিপসি, গাঁদা, সূর্যমুখী, কসমস, বেলি, স্টেক, রজনীগন্ধা ও গোলাপসহ প্রায় ১৫ রকমের বিভিন্ন জাতের ফুল আমরা চাষ করে থাকি। শুধু জমিতেই নয়, এলাকার রাস্তার ঢালেও ফুলের চাষ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রবিশস্য চাষ করে যে পরিমাণ ফসল পাওয়া যায় তার চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয় ফুল চাষ করে। স্বল্প সময়ে ফুল উৎপাদন করা যায় এবং খরচ অনেক কম হয়। অধিক লাভ হওয়ায় অনেকেই ফুল চাষে ঝুঁকেছেন। এখানকার উৎপাদিত ফুল রাজধানী ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকা থেকে ফুলের বীজ এনে এ চাষ করা হয়।

এদিকে ফুলের বাগান দেখার জন্য এ গ্রামে আসেন অনেক দর্শনার্থী। প্রতিদিন বিকেল হলেই শত শত লোকের সমাগম ঘটে ফুলের মাঠে। তারা মুগ্ধ হয়ে ঘুরে ঘুরে দেখেন নানা ধরনের ফুল।

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আজমল হক বলেন, বড়হর চরগুয়াগাতী গ্রামে অনেক বছর ধরেই ফুল চাষ হচ্ছে। এ বছর ফুল চাষ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, কৃষক লাভবান হচ্ছে। কৃষক পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় অনেক মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে।

কৃষি অফিসের একটি দল নিয়মিত মাঠে কাজ করছে। ফুলচাষীরা যাতে ভালো ফলন পান সে লক্ষ্য নিয়ে তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 
Electronic Paper