দুর্গাপুর শত্রু মুক্ত দিবস আজ
দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
🕐 ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
আজ ১৩ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজশাহীর দুর্গাপুর হানাদার মুক্ত হয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম ও যুদ্ধের পর পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা দুর্গাপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে দুর্গাপুর থেকে পালিয়ে যায়। আর তখনি সমগ্র দুর্গাপুরবাসী আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে।
দুর্গাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আব্দুল গণি বোখারীর দেয়া ভাষ্য মতে, ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর রাজাকার ও শান্তি কমিটির লোকজনের সহযোগিতায় পাক-বাহিনী তাহেরপুর হয়ে দুর্গাপুরে প্রবেশ করে দুর্গাপুর থানা দখল করে পাক-হানাদার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করে। সেখান সাধারণ নারীদের ধরে এনে চালাতো পৈশাচিক নির্যাতন। আর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী নিরীহ মানুষদের হত্যা করা হতো।
সারা দেশের ন্যায় দুর্গাপুরেও চলে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। ১৩ ডিসেম্বর ভোর রাতে ফজরের আযানের সঙ্গে সঙ্গে থানায় পাক-হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ চালানো হয়। তিনঘন্টা ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ চলার পর পাক-হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প দখলে নেয় মুক্তিযোদ্ধারা।
এদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে টিকে থাকতে না পেরে ক্যাম্প থেকে পাক-বাহিনী পলায়ন করে। তখনও মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। ওইদিনই দুর্গাপুর শক্র মুক্ত ঘোষণা করে প্রথম লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলণ করেন ওই সময় ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম।