ছড়িয়ে পড়ছে গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ
পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
নওগাঁর পোরশায় গরুর ভাইরাস জনিত রোগ ‘ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ’ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে চরম আতঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার গরু মালিকরা। এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গরু মালিকরা।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গরু মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমত গরুর শরীরের আক্রান্ত স্থান ফুলে যাচ্ছে এবং দু-একদিনের মধ্যেই শরীরে ফোলা স্থান থেকে মাংস খুলে পড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অনেক গরুর সারা শরীর জুড়ে অসংখ্য গুঁটি গুঁটি হয়ে ঘা এ পরিণত হচ্ছে। এ সময় গরুর শরীরে ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রী তাপমাত্রায় জ্বর থাকছে। এর ফলে আক্রান্ত গরু কোন কিছু খাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ’ রোগটি প্রথম ১৯২৯ সালে জাম্বিয়াতে হয়েছিল। যা পরবর্তীতে আফ্রিকা মহাদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। এবছর চীন ও ভারতে রোগটি দেখা দেওয়ার পর এবারই প্রথম বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে রোগটি সাধারণত মশা, মাছি, আটালি, আক্রান্ত পশুর লালা, আক্রান্ত গরু-মহিষের দুধ এবং বহুবার ব্যবহারিত ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মধ্যমে ছড়ায়। ওেরাগটি ছয় মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয় বলে সূত্রটি জানায়। ভাইরাস জনিত এ রোগে সাধারণত গরু-মহিষ আক্রান্ত হয়ে থাকে। লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত গবাদিপশু দুর্বল এবং ওজন কমে যায়। আর গাভী গরুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শফিউল আলম জানান, উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়নেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেক গরু আক্রান্ত হয়েছে। তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সাধারণত এ রোগে গরু মারা যায়না বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, আমাদের একজন মাত্র চিকিৎসক ছিল তাকেও ছয় মাসের জন্য প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়েছে। আমাদের লোক বলের সংকট রয়েছে তার পরেও রোগটি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই এবং খুব তাড়াতাড়ি রোগটি ভাল হয়ে যাবে।