ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভাঙা ঘরে পাঠদান

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
🕐 ৪:২৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯

১৯৮৬ সালে নির্মিত নাটোরের গুরুদাসপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেডের চালায় মরিচা ধরেছে। চালাঘরের তিনটি শ্রেণিকক্ষ বিভক্ত করা হয়েছে প্লাইউডের বোর্ডে। বিভক্ত করা এসব শ্রেণিকক্ষেই কষ্টে চলে পাঠদান।

খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১৯৬৩ সালে গুরুদাসপুর থানা সদরে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন থানা শিক্ষা কর্মকর্তা খগেন্দ্র নাথ বর্মন। প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৬ সালে প্রথম একটি টিনশেড ঘর নির্মিত হয়।

আশপাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়ায় তখন থেকেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শিক্ষার্থীর চাপ। সেই কথা বিবেচনা করে ২০০০ সালের পর একটি একতলা এবং একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়।

কিন্তু বিদ্যালয়ের ফলাফল ভালো এবং মডেল বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়ায় শিক্ষার্থী প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যে ভবন আছে তাতে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। পুরনো টিনশেড ঘরেই ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে।

সহকারী শিক্ষক আফরোজা সুলতানা ও ইসরাত জাহান জানান, শুধু ভালো ফলাফলেই নয় সংস্কৃতিতেও সেরা। অথচ বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামোগত সুবিধা নেই। এ দৈনতার ফলে একসঙ্গে অনেক শিশু নিয়ে পাঠদান করতে হয়। এটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, অবকাঠমোগত অসুবিধা বিবেচনা করে ইতোমধ্যে দ্বিতল ভবনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

 
Electronic Paper