ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাড়ছে চালের দামও

নওগাঁ প্রতিনিধি
🕐 ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৯

উত্তরবঙ্গের ধান-চালের বড় সরবরাহ স্থান নওগাঁয় এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিকন চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি বেড়েছে প্রায় ২০০ টাকা। জিরাশাইল ও বিরি-২৮ জাতের ধানের সরবরাহ কমায় চালের দাম বেড়েছে বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ভারত থেকে ‘সম্পা কাটারি’ চালের আমদানি বন্ধ হওয়ায় জিরাশাইলের ওপর চাপ বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।

এদিকে চালকল মালিকরা বলছেন, ধানের দামের সঙ্গে চালের বাজারের সামঞ্জস্য না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। বেশি দামে ধান কিনে কম দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। যে হারে ধানের দাম বেড়েছে, সে তুলনায় বাড়েনি চালের দাম। চিকন চালের দাম ৫০ টাকার মধ্যে থাকলে কৃষকরা ধানের দাম পাবেন। নওগাঁয় মোট ৯৫৭টি চালকল রয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি অটোরাইস মিল, বাকিগুলো হাসকিং মিল। প্রতিদিন মিলগুলোর চাল উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন। হঠাৎ চালের দাম বাড়ায় বিপাকে স্বল্প আয়ের খেটেখাওয়া মানুষ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বোরো মৌসুমে নওগাঁয় প্রায় এক লাখ ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয় চিকন জাতের ধান। এ জেলায় বছরে ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়। স্থানীয় চাহিদা প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত খাদ্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিবস্তা এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার টাকা হয়েছে। গত সপ্তাহে চিকন চালের দাম ৩৬ টাকা থাকলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। আগামীতে এই দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নওগাঁ ধান ও চাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, জিরাশাইল, আটাশ ও ঊনত্রিশ বছরে একবার বোরো মৌসুমে উৎপাদন হয়ে থাকে। বছরের সাত মাস পেরিয়ে গেছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছে ধানের পরিমাণ কমে এসেছে। এই ধান দিয়ে আরও পাঁচ মাস চালাতে হবে। যার কারণে বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি বছর এ সময়ে চালের দাম কিছুটা বাড়ে।

নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, সরকার ২৬ টাকা দরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে। এটি নজিরবিহীন ঘটনা। আগে কখনোই করেনি। কৃষকদের ধানের ন্যায্য দাম দিতে এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকার পর্যায়ক্রমে উদ্যোগ নিয়েছে। যার কারণে ধান ও চালের দাম বেড়েছে। আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হলেও বাজারে আসতে আরও এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 
Electronic Paper