ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আশঙ্কা লিটনের দুশ্চিন্তা বুলবুলের

রাজশাহী ব্যুরো
🕐 ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০১৮

প্রতিদিনই রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দাখিলের মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের প্রচার। নগরীর সর্বত্র পোস্টার- ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে ফেললেও আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের আশঙ্কা করছেন।

গত নির্বাচনে হেফাজতে ইসলামীর ঘটনার অপপ্রচারের মতো এবারের নির্বাচনেও বিএনপি-জামায়াত জোট নানাভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ তার। অন্যদিকে, বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তার দাবি, পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের মতো আচরণ করছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট অভিযোগ দিলেও তারা তাতে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
রাজশাহী মহানগরীর এখন যেদিকে চোখ যায়, সবদিকেই মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী পোস্টার। বিকাল হলেই সবখানে নেমে পড়ে তার প্রচারণা মাইক। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন তার পক্ষে চষে বেড়াচ্ছে নির্বাচনী মাঠ। লিটন নিজেও সারাক্ষণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গণসংযোগে। তারপরও তিনি আশঙ্কা করছেন তার এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোটের মিথ্যা প্রচারণার। কেন এই আশঙ্কা জানতে চাইলে লিটন বলেন, অপপ্রচার হচ্ছে এমন জিনিস, এটি নিত্যনতুনভাবে আবির্ভূত হয়। যারা এটি করেন, তারা এতটাই সিদ্ধহস্ত, বিশেষ করে জামায়াত-শিবির অপপ্রচারে এতটাই সিদ্ধহস্ত, তারা নন ইস্যুকে ইস্যু বানাতে খুবই পটু এবং একেবারে মিথ্যা বানোয়াটকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে থাকে। কম্পিউটারে কম্পোজ করে, তাদের মোবাইল, ট্যাবে যে ছবিগুলো থাকে, একেবারে উঠান বৈঠকের ছবির মতো দেখায়। যেমন- আজান হচ্ছে, সে সময় আওয়ামী লীগের সভা চলছে। এমন পুরো বানোয়াট ছবি মানুষকে দেখায়। অথবা দেখানো হচ্ছে, আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর দ্বারা সাধারণ মানুষ লাঞ্ছিত হচ্ছে, যেটি আদৌ সত্য না, সেটাও সত্য বলে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এভাবে মিথ্যাকে ফলাও করে প্রচার করে তারা।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হচ্ছে না দাবি করে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, পুলিশ নিয়মিত অভিযানের নামে আমাদের নেতাকর্মী, সমর্থকদের হয়রানিমূলকভাবে গ্রেপ্তার করছে। উচ্চ আদালত এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুলিশ নতুন নতুন মিথ্যা মামলা সাজিয়ে বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার করা শুরু করেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে জড়িত বিএনপি কর্মীদের আওয়ামী লীগ কর্মীরা মারধর করছে। আবার উল্টো মামলা দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। তারা বিএনপির নারী কর্মীদের নানাভাবে লাঞ্ছিত ও হুমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন সরকারদলীয় প্রার্থীর কর্মীরা টানাতে বাধা দিচ্ছে। কোথাও কোথাও এগুলো টানালে তারা ছিঁড়ে নষ্ট করে ফেলছে। বুলবুল বলেন, নগরীর সর্বত্র নৌকার প্রার্থী পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড দিয়ে ছেয়ে ফেলছে। নির্বাচনী হলফনামায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী তার মোট ব্যয়ের যে হিসাব দিয়েছেন, শুধু পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনেই তার কয়েকগুণ তারা এরই মধ্যে খরচ করেছে। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিলে বলা হচ্ছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি মনিটরিং করছে। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত তার কোনো প্রমাণ পাইনি।

 
Electronic Paper