ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিনাবেতনে ১৯ বছর

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০১৯

দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে বিনাবেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের আলীপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সর্বশেষ আশায় ছিলেন চলতি বছরে হয়তো বা এমপিও হবে। কিন্তু এমপিওর ফলাফল বের হলেও সে তালিকায় তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম না থাকায় হতাশ শিক্ষক-কর্মচারীরা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৭ সালে আলীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদ্রাসাটি। তৎকালীন সময়ের মরহুম আব্দুল কাদের মুন্সি ও তার ছোট ভাই মরহুম ইব্রাহীম আধাম এলাকার অবহেলিত মানুষদের ধর্মীয় শিক্ষার কথা চিন্তা করে নিজেদের এক একর জমির ওপর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের প্রথমে ফোরকানীয়া পাঠদান করানো হতো। পরে এবতেদায়ি হওয়ার পর ওয়ান থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান শুরু হয়। খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে চলতে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়।

এর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস এমপির সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি আবার চালু হয়। বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় ১৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ২৭০ জন শিক্ষার্থীদের সরকারের সকল নিয়মনীতি অনুসরন করে পাঠদান করাচ্ছেন এবং প্রতি বছরই সন্তোষজনক ফলাফল লাভ করে আসছে।

আলীপুর দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার আশরাফুল আলম বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে আমরা ১৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিনা বেতনে পাঠদান করে আসছি। আমাদের অনেক আশা ছিল চলতি বছর সবার সঙ্গে আমাদেরটাও এমপিওভুক্ত হবে। কিন্তু চলতি বছরেও আমাদের প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হলো না। আর কতদিন এভাবে বিনা বেতনে পাঠদান করাব। আমাদের সংসার তো আর চলে না। ভেবেই পাচ্ছি না এখন আমরা কি করব।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলীপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচাররা বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করে আসছেন। প্রতি বছরই সন্তোষজনক ফলাফল করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ও চাপিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল করিম মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। বিগত দিনে আমাদের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। এ বছরেও হলো না!

 
Electronic Paper