ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সেতু আছে সড়ক নেই

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০১৯

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গাড়াবাড়ি নদীর ওপর অপরিকল্পিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না সেতুটি। উল্টো এটি এখন এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুটি নির্মাণের পর নানা অজুহাতে ৬ মাসেও সংযোগ সড়ক তৈরি করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ কারণে ১৫ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গাড়াবাড়ি গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান, মঈনুল হক, সোলায়মান হোসেন জানান, গাড়াবাড়ি হাটখোলা ও নলকা-দশসিকা সড়কের পাশে অবস্থিত গাড়াবাড়ি-বড়হর সড়কে প্রায় ৬ মাস আগে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি কামারখন্দ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ নির্মাণ করে।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এর সংযোগ সড়ক তৈরি না করায় এই এলাকার ৪টি প্রাইমারি স্কুল, একটি কলেজ, একটি মাদরাসা, দুটি হাইস্কুলের প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হচ্ছে।

৯নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম জানান, সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীর যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এটা সত্য। তবে এটাও সত্য যে এলাকাবাসী মাটি না দেওয়ায় বর্ষার আগে সংযোগ সড়ক নির্মাণ সম্ভব হয়নি। বর্ষার পানি নেমে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জানান, এই সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ ইউনিয়ন পরিষদের কাজ নয়। এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানানোও হয়নি। কজেই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতেও পারব না।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজশাহীর মেসার্স নির্জন এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার মিলন রহমান জানান, এলাকাবাসী মাটি না দেওয়ায় বর্ষার আগে কাজটি শেষ করা সম্ভব হয়নি। বর্ষার পানি সরে গেলে সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে। কামারখন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আয়শা সিদ্দিকা জানান, কাজ শেষ না হওয়ায় ওই ঠিকাদারের কিছু বিল আটকে দেওয়া হয়েছে। বর্ষার পানি সরে গেলে তারা কাজটি করে দেবে বলে জানিয়ে। কাজ শেষ হওয়ার পর বাকি বিল পরিশোধ করা হবে।

ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্ষার কারণে সময়মতো কাজটি করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্ষার পানি নেমে গেলেই সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে। তখন আর এলাকাবাসীর এই দুর্ভোগ থাকবে না।

কামারখন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শহিদুল্লাহ সবুজ জানান, আমি একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ওখানে বর্ষার পানি থাকায় কাজটি করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি সরে গেলে এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

 
Electronic Paper