রেলসেতুতে ফাটল
ঝুঁকি নিয়ে চলছে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
সিরাজগঞ্জে ২৮ ও ২৯ নম্বর রেলসেতুর গার্ডারে ফাটল সৃষ্টি ও লোহার পাত ক্ষয় হয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে রেল চলাচল। তারপরও রুটটিতে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসসহ প্রায় ১৪টি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন ও ৬টি তেল, কয়লা ও মালবাহী ট্রেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ সেতু দুটির দ্রুত সংস্কারের কথা জানিয়েছে।
উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা-ঈশ্বরদী রেল রুটে সিরাজগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত বেশিভাগ রেলসেতু ব্রিটিশ আমলে নির্মিত। এ দুটি সেতুর বয়স একশ বছর পার হয়েছে। এ ছাড়া উল্লাপাড়া ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার এ রেলপথ চলনবিলের মধ্যে হওয়ায় প্রতি বছর বন্যায় তীব্র স্রোতের ধাক্কায় সেতুতে ফাটল ধরেছে। এতে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সেতু দুইটি হচ্ছে উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের বঙ্কিরাট এলাকার ২৮নং ও কয়ড়া ইউনিয়নের মহিষাখোলা কামারপাড়া এলাকার ২৯নং রেলসেতু।
এ বিষয়ে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় রেলপথ ব্যবস্থাপক আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে চলনবিলের বন্যার পানির তীব্র স্রোতের আঘাতে সেতু দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষা শেষ হলেও এখনো সেখানে অনেক পানি। এ অবস্থায় সেখানে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সেতুর নিচে অস্থায়ী ভাবে সিসি ক্লিক (লোহার খাঁচা) নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, বন্যার পানি কমে গেলে ওই সেতুর পাশে বিকল্প ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু দইটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এজন্য কিছু দিন সময় লাগবে। ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ঘুরে দেখা যায়, সেতুর গার্ডারে বেশ কয়েকটি ফাটল। ওই ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর নিচে লোহার অ্যাঙ্গেল, কাঠের স্লিপার, সিসি ক্লিক দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে।
সেখানে দুজন ওয়াচম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ট্রেন দেখলেই তারা লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে ট্রেনের গতি কমিয়ে চলার সংকেত দেন।