ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

১০ টাকার চালে স্বস্তি

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি
🕐 ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯

নওগাঁর আত্রাইয়ে দশ টাকা কেজি চালে স্বস্তি ফিরেছে খেটে খাওয়া মানুষেদের মাঝে। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় অতি দরিদ্রদের মাঝে গত সোমবার থেকে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। অতিদরিদ্র পরিবারের কার্ডধারী ব্যক্তিদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ কর্মসূচির আওতায় অতি দরিদ্র পরিবারের কার্ডধারী ব্যক্তিরা ১০ টাকা করে ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। প্রতিজন ডিলার ১ মেট্টিক টন চাল বিক্রি করতে পারবেন। শুক্রবার ছুটির দিন ব্যতিত সপ্তাহের প্রতিদিনই এ কর্মসূচি চলবে। এদিকে অতিদরিদ্র মানুষদের ডিলারের দোকানগুলোতে চাল কিনতে উপড়ে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বছরের মার্চ-এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বর এই দুই সময়ে এই চাল বিক্রি করা হয়। কারণ এই দুই সময়ে দুটি বড় ধানের চাষাবাদের পূর্ব মুহুর্ত। এসব চাল বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতারা দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছে চাল কেনার জন্য।

উপজেলার কাশিয়াবাড়ি বাজারের ডিলার বাকারা শেখ বলেন, সরকারের এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অতিদরিদ্র মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশে ওএমএসের চাল বিক্রি বন্ধ থাকায় দফায়-দফায় বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছিলেন গরিব খেটে খাওয়া মানুষরা। এতে সাধারণদের নাভিশ্বাস হয়ে ওঠে। এই চাল বিক্রি শুরু করায় বাজারে চালের দাম কমতে থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষরা স্বস্তি পেতে শুরু করেছে।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজারের ডিলার আব্দুর রশিদ বলেন, এভাবে বছরের অর্ধেক সময় যদি সরকার কম দামে চাল বিক্রয়ের কার্যক্রম হাতে নিতো, তাহলে খেটে খাওয়া গরিব মানুষদের জন্য খুবই ভালো হতো। আমরা নিয়ম অনুসারে সুশৃঙ্খলভাবে শান্তি পূর্ণ পরিবেশে অতিদরিদ্রদের মাঝে এই চাল বিক্রয় করছি। এই কর্মসূচির সময় ও বরাদ্দ আরও বাড়ালে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার খেটে-খাওয়া গরিব অসহায় মানুষরা আরও উপকৃত হতো।

আমরা ডিলারের মাধ্যমে সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। এই চাল বিক্রয় করার কারণে চালের বাজার কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং হলে আগামীতে আরো কমার সম্ভবনা রয়েছে। এই কর্মসূচিটি প্রধান দুই ধানের মৌসুম শুরুর দিকে চালু করা হয়। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. নুরুউদ্দিন বলেন, সরকারের বিভিন্ন ভিশন বাস্তাবায়ন করাই আমাদের মূল কাজ। খোলা বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি প্রধানমন্ত্রীর একটি বড় পদক্ষেপ।
ইতিমধ্যেই আমরা সকল নিয়ম-কানুন মেনে এই চাল বিক্রি করার সকল প্রস্তুতি শেষ করে চাল বিক্রয় শুরু করা হয়েছে। এই চাল বিক্রিতে কোন প্রকারের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এই চাল বিক্রয় সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে আমি সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ডিলারদের দোকান পরিদর্শন করছি। এছাড়াও আমার অন্য কর্মকর্তারা তো সব সময় মাঠে রয়েছেন।

 
Electronic Paper