ডাক্তার আসেন দেরিতে ভোগান্তি রোগীদের
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
🕐 ৬:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০১৯
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর হাসপাতালের একমাত্র শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোকাদ্দেস রব্বানি। প্রতিদিনই সকাল থেকে শিশু বিভাগের নয় নম্বর কক্ষের সামনে বিভিন্ন বয়সীর অসুস্থ শিশুদের নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন অভিভাবকেরা। অথচ তিনি দুই ঘণ্টা দেরিতে হাসপাতালে আসেন।
তবে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোকাদ্দেস রবাবনির অভিযোগ তিনি নওগাঁ থেকে আসার পথে যানজটে আটকা পড়েন বলেই দুই ঘণ্টা দেরি হয়।
সরেজমিন রোববার হাসপাতালে দেখা গেছে, শিশু বিভাগের নয় নম্বর কক্ষের সামনে বিভিন্ন বয়সীর অসুস্থ শিশুদের নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অভিভাবকরা। আর কক্ষের মধ্যে ডাক্তারের চেয়ারটি ছিল ফাঁকা। টেবিলের এক পাশে বসে ছিলেন একজন ইন্টার্ন শিক্ষার্থী।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টার সময় হাসপাতালে ডাক্তার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সকাল ১০ টায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোকাদ্দেস রব্বানি এসে রোগী দেখা শুরু করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বহির্বিভাগের চিকিৎসকেরা একটানা সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত রোগী দেখার নিয়ম রয়েছে। হাসপাতালটিতে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার কারণে পাঁচবিবি উপজেলায় চিকিৎসক ডা. মোকাদ্দেস রব্বানিকে আক্কেলপুর হাসপাতালে ডেপুটেশনে রাখা হয়েছে। তিনি এ হাসপাতালে প্রায় দেড় বছর থেকে রোগী দেখছেন। তিনি নওগাঁ সদরের বাসা থেকে এসে আক্কেলপুর হাসপাতালে রোগী দেখেন।
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার পূর্ব খাদাইল গ্রামের বাসিন্দা মলি বেগম বলেন, আমার সন্তান নিশাতের কয়েকদিন থেকে জ্বর। আমাদের বাড়ি থেকে বদলগাছি হাসপাতাল দূরে। কাছে আক্কেলপুর হাসপাতাল। তাই রোববার সকাল ৮টা থেকে ডাক্তারের ঘরের দুয়ারে সন্তানকে নিয়ে বসে আছি। দেড় ঘণ্টা হয়ে গেল ডাক্তার আসার কোনো খবর নেই।
পৌর এলাকার সৈয়দ সুহেল ও টুটুল ইসলাম বলেন, আমরা সকাল ৯টা থেকে হাসপাতালের শিশু ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বাধ্য হয়ে বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাধেশ্যাম আগরওয়ালাকে জানিয়েছিলাম। তিনিও এসে দেখতে পান নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পার হলেও শিশু বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে পৌঁছাননি। পরে সকাল ১০টায় ডাক্তার এসে তার কক্ষে বসেন।
দুই ঘণ্টা দেরিতে হাসপাতালে পৌঁছার বিষয়ে জানতে চাইলে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোকাদ্দেস রব্বানি বলেন, আমার মূল কর্মস্থল পাঁচবিবি উপজেলা হাসপাতাল। আমি এখানে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধে রোগী দেখি। আমি নিয়োমিত প্রচুর রোগী দেখি। কোনো রোগীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছি এমন রের্কড নেই।