বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৪৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৯
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর অতিবর্ষণে অস্বাভাবিকভাবে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও গত ২দিন ধরে পানি কমতে থাকায় বগুড়ার শেরপুরে বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরফলে এ দু’ নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়া নদী ভাঙনও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফলে স্থানীয় বিনোদপুরসহ অন্তত বিশটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সাহেববাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একাংশ (সাড়ে চারশ মিটার) বাঙালি নদী গর্ভে চলে গেছে। এছাড়া যে হারে পানি বাড়ছে, তাতে যে কোন সময় ক্ষতিগ্রস্থ এই একেবারে বাঁধটি ধ্বসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। আর এই বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে উপজেলার সুঘাট, সীমাবাড়ী, বিশালপুর, ভবানীপুর ইউনিয়নের একাংশসহ সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ, রায়গঞ্জ উপজেলাসহ ২০ গ্রামের বিশাল এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে হাজার হাজার বিঘা জমির রকমারি ফসল।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জানান, গেল কয়েকদিন ধরেই বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে করে সাহেববাড়ি ও মইশনটি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে মেরামত ও সংস্কার করা প্রয়োজন। না হলে যে কোন সময় এই বাঁধটিও ধ্বসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। বাসা-বাড়ি তলিয়ে যাবে। অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন এই চেয়ারম্যান। এদিকে ওই ভাঙ্গন কবলিত সাহেববাড়ী বাঁধ পরিদর্শন করেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ¦ হাবিবর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মকবুল হোসেনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বাঁধের একাংশ বাঙালি নদীগর্ভে ধ্বসে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এই বাঁধটি এলজিইডি নির্মাণ করেছিল।