যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস
আবদুল জব্বার, পাবনা
🕐 ৫:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০১৯
পাবনায় যত্রতত্র ও অরক্ষিতভাবে লাইসেন্সবিহীন দোকানে অবাধে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দোকান। ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। শুধু বিক্রিই না ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবহন করা হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। প্রশাসনের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লাইসেন্সবিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা বাড়ছে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
রাজশাহী-রংপুর বিভাগের বিস্ফোরক পরিদর্শক ড. আসাদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর গত ২ জুলাই তিনি সরেজমিন পাবনার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অচিরেই অবৈধ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা করছে এমন কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কখনো কেউ দেখার জন্য আসেনি। আর দোকানে আগুন লাগার মতো কিছু নেই। কখনো কোনো সমস্যা হয়নি তাই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা জেনেও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই তারা ব্যবসা করছেন। গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া আটটি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদ করা বা বিক্রি করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি মজুদ রাখতে হবে।
স্থাপনা প্রাঙ্গণে দিয়াশলাই বা আগুন লাগতে পারে এমন কোনো বস্তু বা সরঞ্জাম রাখা যাবে না। মজুদ করা স্থানের কাছাকাছি আলো বা তাপের উৎস থাকা যাবে না। তবে এসব আইনের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র অরক্ষিতভাবে লাইসেন্সবিহীন দোকানে অবাধে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে।
বিস্ফোরক পরিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলায় বিস্ফোরক পরিদফতর কর্তৃক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য লাইসেন্স ছিল ২০২ জনের। এর মধ্যে সময়মতো নবায়ন না কারায় ৪৮টি লাইন্সেস বাতিল করা হয়েছে, বর্তমানে ১৫৪ জনের লাইসেন্স রয়েছে। অন্যদিকে ৪৯ জন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শুধু বিক্রি না ঝুঁকিপূর্ণভাবে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে ট্রাকযোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিলিন্ডার ভর্তি ট্রাক। গ্যাস সিলিন্ডার নামানো হয় ট্রাক থেকে ছুড়ে ফেলে। এতে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটে ঘটতে পারে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা।