ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গুরুদাসপুরে সড়ক বেহাল

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৬, ২০১৯

নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের এক নম্বর ওয়ার্ডের পাকা সড়কটির বেহাল দশা। নজরে নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। বিগত পাঁচ বছর আগে রাস্তাটি সংস্কার হলেও তারপরে আর হয়নি। ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টি হলেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তাটি। কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে বছরের ছয় মাস। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। পোশাক কাদায় মেখে যায়। এমনকি মাঝে মাঝে পিছলে পড়ে যাই। আমাদের কথা ভেবে হলেও এ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌরসভার বকেয়া করের পরিমাণ ৮৯ লাখ ১৭ হাজার ৪১১ টাকা। খেলাপি করের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সিংগাইর উপজেলা পরিষদ, পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (বিআরডিবি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স ও সিংগাইর সরকারি কলেজ। এর মধ্যে পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (বিআরডিবি) পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর আদৌ কর পরিশোধ করেনি। বারবার নোটিস দেওয়ার পরও এসব প্রতিষ্ঠান বকেয়া কর পরিশোধ করছে না। এতে পৌরসভাটি আর্থিক সংকটে পড়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাজ ও নাগরিক সেবা।

পৌরসভার রাজস্ব বিভাগের কর আদায় শাখা সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি পৌর কর বকেয়া রয়েছে সিংগাইর উপজেলা পরিষদের। সরকারি আবাসিক ভবনসহ এ প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া করের পরিমাণ ১১ লাখ ১৭ হাজার ২৯৯ টাকা। এরপরেই আছে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (বিআরডিবি)। ২০০১ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর আদৌ কর পরিশোধ করেনি সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা তিন লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৫ টাকা।

বকেয়া করের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া করের পরিমাণ তিন লাখ ২২ হাজার ৬১২ টাকা। চতুর্থ নম্বরে আছে সিংগাইর সরকারি কলেজ। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কাছে কর বাবদ পাওনা ৯৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বাণিজ্যিক, আবাসিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে আরও ৭০ লাখ ২৬ হাজার ৯৬৯ টাকা পৌর কর বকেয়া রয়েছে।

পৌরসভার সচিব তায়েব আলী জানান, পৌরসভাটি গ শ্রেণি থেকে খ শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারী, মেয়র ও কাউন্সিলরদের বেতন ভাতা ও সেবা খাতে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিমাসে বেতন ভাতা ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়। সেই তুলনায় পৌরসভার আয় ও রাজস্ব আদায় বাড়েনি। খরচ অনুপাতে রাজস্ব আদায় না হওয়ায় পৌরসভার ব্যয়ভার মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।ন।

১নং ওয়ার্ড কমিশনার মো. মজিবর মোল্লা জানান, অনেক দিন ধরে এ রাস্তার বেহাল দশা। তবে আমি মেয়র সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি বলেছেন, খুব দ্রুতই এ রাস্তাটির টেন্ডার হবে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী মোল্লাকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 
Electronic Paper