ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাবনায় আমেনা খাতুন হত্যা

বিচার চান বাবা-মা

পাবনা প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০১৯

পাবনায় ধর্ষণের পর মেয়েকে হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় বাবা-মা। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় দীর্ঘ ২৫ দিনেও মামলার আসামি ধর্ষক শাহাদতকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষের লোকজন তাদের হুমকি দিচ্ছে।

তবে পুলিশের দাবি, আসামিকে গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা চলছে। শনিবার সকালে পাবনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে লিখিত বক্তব্যে নিহতের বাবা ময়েজ উদ্দিন মোল্লা ও মা তারা খাতুন জানান, আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনা (১১) দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার শাহাদত হোসেনের স্ত্রী জহুরা খাতুনের কাছে আরবি পড়তো। প্রতিদিনের মতো গেল বছরের ৬ জুন সকালে আমেনা খাতুন আরবি পড়তে যাই জহুরা খাতুনের কাছে।

এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে জহুরা খাতুনের স্বামী শাহাদত হোসেন আমেনা খাতুনকে ধর্ষণ করে। এ কথা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা মীমাংসার আশ্বাস দেয়।

কিন্তু পরদিন দুপুরে আমেনা খাতুনকে আবারও ধর্ষণ করে শাহাদত। বিকেলে বাড়ি ফিরে আমেনার মা তারা খাতুন ঘরে মেয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বাবা ময়েজ উদ্দিন মোল্লা ও মা তারা খাতুন দাবি করেন, তার মেয়েকে শাহাদত গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা তারা খাতুন বাদী হয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার অভিযোগে শাহাদত হোসেনকে (৩৫) একমাত্র আসামি করে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করেন।

আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অপরাধে মামলা দায়ের করে এখন কেন মেয়েকে হত্যার পর লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করা হচ্ছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ময়েজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী অশিক্ষিত। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন থানায় নিয়ে গিয়ে কাগজে লিখে স্বাক্ষর করতে বললে আমার স্ত্রী তারা খাতুন ওই কাগজে স্বাক্ষর করে।’

সংবাদ সম্মেলনে নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনার বাবা-মা ছাড়াও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সামছুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা চলছে।

 
Electronic Paper