চরে জনপ্রিয় ঘোড়ার গাড়ি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৭:০২ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০১৯
যমুনার চরাঞ্চলে প্রায় এক যুগ আগেও পরিবহনের জন্য ছিল না তেমন কোনো কিছু। বর্ষা মৌসুমে নৌকায় আর শুকনো মৌসুমে মাইলের পর মাইল ধু-ধু বালুচর পায়ে হেঁটেই নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল মাথায় নিয়ে হাটে ও গন্তব্যে পৌঁছাতেন মানুষ। গ্রামাঞ্চলের মেঠোপথে পরিবহন বলতে ছিল গরু ও মহিষের গাড়ি।
ক্রমান্বয়ে এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে অধিকাংশই গরু ও মহিষের গাড়ি। বর্তমান আধুনিক যুগে গরুর গাড়ি ও মহিষের গাড়ি বিলুপ্তি হলেও সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতীরে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি। মালামাল পরিবহনেও ঘোড়ার গাড়ির বিকল্প নাই।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, চৌহালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের খাষপুখুরিয়া, বাগুটিয়া, ঘোরজান চর ইত্যাদি গ্রামে চরাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করছেন। চৌহালী উপজেলার ইউনিয়নের গ্রামগুলো অর্ধেকাংশ ঘোড়ার গাড়িতে সব ধরনের কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে।
উমারপুর, বাগুটিয়া ও ঘোরজান গ্রামের চালক নুহু মিয়া আফসের আলী, মতলেব মিয়া বলেন, এখন যমুনা চরাঞ্চল মরা। যমুনা তার রূপ নিয়ে উঁচু-নিচু বালুময় চরাঞ্চল। এ চরাঞ্চল এলাকার জমি থেকে উৎপাদিত ফলস ঘরে তোলার জন্য ঘোড়াই একমাত্র বাহক। কেননা মাইলের পর মাইল ধু-ধু বালুচর পায়ে হেঁটে মাথায় করে ফসল বাড়িতে নিয়ে আসা খুবই কষ্টকর।
কে আর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রশিদ বাবলু বলেন, যমুনা চরাঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য ও পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। চরাঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে চলাচলের রাস্তাঘাটের অভাবে যেখানে আধুনিক যান্ত্রিক পরিবাহন গাড়ি চলতে পারে না সেখানে বালুকে উপেক্ষা করে ঘোড়ার গাড়িই পরিবহনে মানুষের নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে আসছে।