দাফনের পর ফিরলেন জীবিত গোলাপি!
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
🕐 ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৩, ২০১৯
রাজশাহীর বাঘায় গোলাপি বেগমের লাশ দাফনের একদিন পর তাকে জীবিত পাওয়া গেছে। গোলাপি বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছেন। ফলে গোলাপি ভেবে দাফন করা লাশটি কার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা। তবে পুলিশ বলছে, উদ্ধারকৃত লাশটি ভুলভাবে শনাক্ত করেছেন গোলাপির আত্মীয়রা। ফলে এ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে আড়ানী রেলস্টেশন থেকে গোলাপিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় চকবাউসা গ্রামের ভুট্টাক্ষেত থেকে মুখে মবিল মাখানো অজ্ঞাত পরিচয়ে (৪৫) এক নারীর লাশ উদ্ধার করে বাঘা থানা পুলিশ। পর দিন গোলাপির শ^শুরবাড়ির লোকজন লাশটি গোলাপির বলে শনাক্ত করে। তিনি উপজেলার আড়ানী পৌরসভার পাঁচপাড়া গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী মনির হোসেনের স্ত্রী।
কিন্তু বুধবার সকাল ১০টায় আড়ানী রেলস্টেশন থেকে তাকে আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। সেখানে গোলাপির মামা শাকিব হোসেন, শাশুড়ি মরিয়ম বেগম ও ভাসুর মাজদার রহমান তাকে শনাক্ত করেন। পরে চেয়ারম্যান উভয় পরিবারকে থানায় পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে গোলাপি বলেন, ২৯ মে রুস্তমপুর হাটে ৪২ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রি করি। এ টাকা নিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাপ দেয়। তাই রাজশাহীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাই। কিন্তু সন্তানের কথা ভেবে বুধবার সকালে রাজশাহী থেকে মহানন্দা ট্রেনে আড়ানী স্টেশনে আসি।
এ বিষয়ে তার ভাসুর মাজদার রহমান বলেন, ‘মুখে মবিল মাখানোর কারণে সঠিকভাবে লাশটি চিনতে পারিনি।’
বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী জানান, উদ্ধারকৃত লাশটি গোলাপির আত্মীয়রা ভুলভাবে শনাক্ত করেছেন। সে কারণে এ বিভ্রাট সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের পারিবারিক গোরস্তানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাফন করা হয়।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, অন্য জায়গায় ওই নারীকে হত্যা করে ওই ভুট্টাক্ষেতে লাশ ফেলে রাখা হয়। তবে আমাদের কাছে ছবি ও আলামত রয়েছে, সেগুলো দেখে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।