বড়াইগ্রামে বাজারে মিলছে না টিসিবির পণ্য
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
🕐 ৬:০৯ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০১৯
নাটোরের বড়াইগ্রামের দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে রমজানেও বাজারে মিলছে না ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সুলভ মূল্যের পণ্য। কম বরাদ্দ, খোলাবাজার আর টিসিবির পণ্যের দামে তেমন পার্থক্য না থাকা ও দূরত্বের ফলে অতিরিক্ত পরিবহন খরচের কারণে ডিলাররা পণ্য উত্তোলন না করায় রমজানে অধিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
লক্ষ্মীকোল বাজারের টিসিবি ডিলার অনুপ কুমার কুণ্ডু জানান, নানা জটিলতার কারণে আমি এ বছর টিসিবির মালামাল তুলিনি।
এবার টিসিবির প্রতি লিটার সয়াবিন ৮৫ টাকায়, চিনি প্রতি কেজি ৪৭ টাকায়, ছোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, মসুর ডাল প্রতি কেজি ৪৪ টাকা ও খেজুর ১৩৫ টাকায় বিক্রি করার কথা। রাজশাহী সফুরা থেকে সবমিলিয়ে মাত্র ১৫শ কেজি মাল দেয়। এসব পণ্য বরাদ্দ দেয় কম, নিয়ে আসতে হয় রাজশাহী থেকে। দূর থেকে পণ্য উত্তোলন করে নিয়ে আসতে অতিরিক্ত পরিবহন খরচের কারণে অধিকাংশ ডিলাররা মাল তুলছেন না।
এ ছাড়া চাহিদার তুলনায় অনেক কম পরিমাণে দেওয়ার কারণেও কেউ কেউ টিসিবির পণ্য উত্তোলন করেননি বলে তিনি জানান।
টিসিবির পণ্য না পাওয়া প্রসঙ্গে জালশুকা গ্রামের সোলায়মান আলী জানান, রোজা শুরুর পর সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। কিন্তু রোজার অর্ধেক পার হয়ে গেলেও টিসিবির পণ্য মিলছে না। এতে অতিরিক্ত দামে পণ্য কিনতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন সাবু জানান, সরকার নিম্নআয়ের মানুষের কথা ভেবে টিসিবির সামগ্রী বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বড়াইগ্রামে টিসিবির কোনো কার্যক্রম নেই। তবে রমজানে কম দামে ছোলা, চিনি, সয়াবিন, ডালের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা উচিত ছিল।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোখলেছ আল আমিন জানান, টিসিবির পণ্য বিক্রয় বিপণনের সঙ্গে আমাদের দফতরের সম্পৃক্ততা নেই।
তাই বর্তমানে উপজেলায় কতজন ডিলারের লাইসেন্স আছে আর কেন তারা পণ্য উত্তোলন করছে না সে তথ্য আমাদের কাছে নেই।
উপজেলার লক্ষ্মীকোল, মৌখাড়া ও আহম্মেদপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ দোকানগুলোতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৯০-১০০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫২ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মসুর ডাল মান ভেদে ৭০-১০০ টাকা ও খেজুর ২০০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।