ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বৈশাখেই আগ্রাসী যমুনা

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০১৯

বর্ষাকাল শুরু হতে এখনও বাকি দুই মাস। তার আগেই বৈশাখের শুরুতেই রুদ্ররূপ ধারণ করেছে যমুনা নদী। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাচিল পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যমুনায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ এলাকার অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

তবে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রকল্প তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অর্থ পেলেই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়। দিনে দিনে ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে থাকে।

বিশেষ করে এনায়েতপুর থানার ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। মুহূর্তের মধ্যে ঘরবাড়ি ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, কবরস্থান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে আরও শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। অনেকে ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্ষা শুরুর আগেই যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙনের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে অতঙ্ক বিরাজ করছে।

খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের নয় নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সোহরাব আলী বলেন, প্রতি বছর নদী ভাঙছে। এ বছর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

বর্ষ শুরুর আগেই নদীতে ভাঙনের কারনে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এনায়েতপুর কাপড়ের হাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, এনায়েতপুরে ভাঙন রোধে ছয়শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ পেলেই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 
Electronic Paper