হুমকিতে বোরো চাষ
নাটোর প্রতিনিধি
🕐 ৪:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
শস্যভান্ডার বলে খ্যাত চলনবিল। প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। গত কয়েকদিনের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা হলুদবর্ণ হয়ে মারা যাচ্ছে। অপরদিকে, সদ্য রোপণকৃত ধান নষ্ট হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে চলবিলে বোরো চাষ। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। এদিকে চারা ও বীজ সংকটে হাট-বাজারে উচ্চ মূল্য গুনতে হচ্ছে তাদের।
জানা যায়, চলনবিলের নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও নওগাঁর আত্রাইসহ ৯টি উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চলনবিলের মাঠে মাঠে বোরো ধান লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুতসহ কিছু জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান লাগানো হয়েছে। চলনবিলের বিলসা, রুহাই, পিপলা, খুবজীপুর, বামনবাড়িয়া, লালুয়ামাঝিড়া, ডাহিয়া, শ্যামপুর, তিতলা এলাকাঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে বোরো বীজতলায় ধানের চারা গাছগুলো হলদে আকার ধারণ করেছে। কিছু কিছু চারাগাছ মরে যাচ্ছে। আবার লাগানো ধান গাছ মরে যেতে বসেছে।
চলনবিলের পিপলা গ্রামের কৃষক মকছেদ আলী ১১০ বিঘা জমিতে ধান লাগানোর জন্য প্রায় দশ বিঘায় ধানের চারা করেছেন। ওই চারা গুলো শীত ও ঘনকুয়াশাজনিত কারণে হলদে হয়ে মারা যাচ্ছে বলে জানান তিনি। যে হারে মারা যাচ্ছে তাতে করে অর্ধেক ধান লাগানো সম্ভব হবে কি না আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
ওই একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম ৮০ বিঘা, রুহাই গ্রামের মজিবুর রহমান ৩৫ বিঘা, রোকমান হোসেন ৬০ বিঘা, বিলসার আফজাল হোসেন ৫৫ বিঘা, খুবজীপুরের শহিদুল ইসলাম ২৫ বিঘা, বামনবাড়িয়ার আব্দুল আওয়াল হাজি ৯০ বিঘা ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যে অর্ধেক ধান লাগানো হয়েছে বলে তারা জানান। তবে ধানের চারা গাছের সমস্যার কথা জানান তারা।
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, তার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী উৎপাদন হবে। তবে আবহাওয়া জনিত কারণে উৎপাদনে কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হতে পারে। তা ছাড়া শীত ও কুয়াশার হাত থেকে বীজতলার চারা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা।