ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজশাহীতে অস্থির চালের বাজারে স্বস্তির আভাস

রাজশাহী ব্যুরো
🕐 ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯

রাজশাহীতে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কমেছে মোটা চালের দাম। এতে কিছুটা হলেও নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে আর বাড়তি দামেই অপরিবর্তিত রয়েছে চিকন চালের দাম। সংসদ নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো রাজশাহীতেও হঠাৎ করেই বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। এতে রমরমা বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে চাল ব্যবসায়ীদের। তাই আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকলেও কমেছে ক্রেতা।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার, কুমারপাড়া ও কাদিরগঞ্জ এলাকার পাইকারি চালের আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে, চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কিন্তু ‘অদৃশ্য কারসাজিতে’ চিকন চালের দাম কমছে না। কবে কমবে তাও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।

মহানগরীর চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম তিন থেকে চার টাকা বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, চালের দাম দ্রুত না কমলে বাজারে অন্য খাদ্যপণ্যেও অস্থিরতা বাড়বে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সমাজের নিম্নআয়ের মানুষগুলো। আর বিক্রেতারা বলছেন, ধানের সরবরাহ কম থাকায় চালের দাম বেড়েছে।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার এলাকার এপি চালের আড়তের বিক্রেতা মিল প্রসাদ জানান, ৮৪ কেজির বস্তা মিনিকেট ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৭৫০ টাকা হয়েছে। এছাড়া ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ৩০০ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ ৮৪ কেজির বস্তা ৩ হাজার ২০০ থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৪৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ পঞ্চাশ কেজির বস্তা ২ হাজার ১০০ থেকে বর্তমানে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেড়েছে সুগন্ধি চালের দামও। বাসমতি চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনিগুড়া বা কালোজিরা ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ৭৬ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।

জানতে চাইলে কাদিরগঞ্জ এলাকার নিউ আদর্শ শস্যভাণ্ডারের প্রোপাইটর জসিম মণ্ডল বলেন, পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়ার কারণে প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেরও। তবে চিকন চালের দাম বাড়লেও চলতি সপ্তাহে মোটা চালের দাম কিছুটা কমেছে। এতে বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। নির্বাচনের কারণে মিলগুলো কয়েকদিন বন্ধ ছিল। এজন্য বাজারে ধানের সরবরাহ কমে আসে। আর ধানের সরবরাহ কম থাকায় চালের দাম বেড়ে গেছে। তবে নতুন স্বর্ণা ধান উঠতে শুরু করেছে। তাই মোটা চালের দাম কমতে শুরু করেছে।

 
Electronic Paper