ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৩৩ বছরেও হয়নি সেতু

আবু মুত্তালিব মতি, আদমদীঘি (বগুড়া)
🕐 ২:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০১৯

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নাগর নদে ১৯৮৫ সালে সেতু নির্মাণের কথা ছিল। এরপর কেটে গেছে ৩৩টি বছর। কিন্তু আজও হয়নি কাক্সিক্ষত সেতু। কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের হরিণমারা স্কুলের সামনে ও চাঁপাপুর ইউনিয়নের আগে পারঘাটা নামক স্থানে স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনো রকমে পারাপারের ব্যবস্থা করে আসছেন।

প্রতিবছর স্থানীয়ভাবে মেরামত করে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে পারাপারের ব্যবস্থা করে থাকেন তারা। এই দুই সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রায় ৩১টি গ্রামের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসী পার হয়ে থাকেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘির কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে নাগর নদ। কিন্তু নদে সেতু না থাকায় কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের হরিণমারা স্কুলের সামনে একটি ও অপরটি চাঁপাপুর ইউনিয়নের আগে পারঘাটা নামক স্থানে স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারের ব্যবস্থা করে আসছেন।

হরিণমারা গ্রামের আবু মুছা বলেন, এ দুটি স্থানে বাঁশের তৈরি সাঁকোর স্থলে সেতু নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে এলেও তারা তা পূরণ করেননি। আদমদীঘি ও নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রায় ৩১টি গ্রামের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ শত শত মানুষ সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

কুন্দগ্রাম ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, হরিণমারা স্কুলের সামনে সেতু নির্মাণের জন্য ১৯৮৫ সালে প্রস্তুতি নিলেও এখন পর্যন্ত হয়নি। তিনি জরুরি ভিক্তিতে সেতু নির্মাণের দাবি করেন।

চাঁপাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক সাম জানান, সেতু নির্মাণ না হওয়ায় পারাপারে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অচিরেই সেতু নির্মাণ করার জন্য প্রকৌশলী বিভাগকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন জানান, হরিণমারা ও পারঘাটায় দুটি সেতু নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

 
Electronic Paper